পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিক নক্ষত্র মণ্ডল প্রতি করি নিরীক্ষণ | | জ্ঞানিল বিদ্যার যোগে সকল কারণ ॥ বিরলে কুমারে ডাকি কহিল বচন । “ যুব নে ! মম বাক্য করহ শ্রবণ } দেখি কোষ্ঠী তব করিয়া নির্ণয় | পক্ষে অর্কুল নহে গ্রহচয় । জনম নক্ষত্র শুভ না হেরি তোমার ; হয়েছে শনির দুটি গ্রহ ঋষ্টি তার ॥ এই জন্য মম মনে হইতেছে ভয় । দেখিতেছি বাছা ! তব জীবন সংশয় | শুনিয়া গুরুর বাকী কুমার তলাক । তয়ে তার মুখে তার নাহি সরে বাক | বিৰ- চল ব- লবিন্য মলিন । ব্যাকুল হইল যেন জল ছাড়া মীন | এষ্ট ৰূপ নিরখিয়া শিস্যেব তাকার । আশ্বাস করিয়া বলে আলমাস কার ॥ “ ভয় নর্তি যুবরাজ ! স্থির কর মন । তামি হইতে হবে তব বিপদ বারণ ॥ প্রতিকুল গ্রহ তব ইহা মিথ1 নয় । কিন্তু তব ইহাতে নাহিক কিছু ভয় | ঈশ্বর রূপায় হেন শকতি অামার ! তাfচরে করিতে পারি গ্রহ-প্রতিকার | এষ্ট মম উপদেশ করই ধারণ । তা গু ভব এ বিপদ হইবে মোচন | চল্লিশ দিবস তুমি মৌন হয়ে ববে | কোন ময়ম কার সহ কথা নাহি কবে } যদ্যপি পালন কর অনুজ্ঞা আমার । বিপদ । গলে তবে পাইবে নিস্তাব { যদ্যপি না কর তুমি মৌনাবলম্বন । নিশ্চয়ু জানিবে তব হইবে মরণ, { ত্যাচাৰ্য্য-ভারতী শুনি ভূপতি-তনয় । প্ৰণতি পূর্বক স্বীয় গুরুপ্রতি কয় । “ করিলেন যে অনুজ্ঞ অধীন-কিঙ্কয়ে । পালন করিব আমি কহি সত্য করে,, । শুনিয়া সন্তুষ্ট অতি আবুমাস্ ফাল । কলঞ্জ বান্ধিয়া দিল গলেতে তাহার }} সে কবজ গলে যেই করয়ে ধারণ । স্নাতন্তের ভয় তার না থাকে কখন }} সকল বিপদ হতে হয় সে উ"1র । কোন মতে কোন ভূয়ু নাহি থাকে তার / ! কুমারের গলে সেই কবল্প বান্ধিয় । আবুমাস কবি গেল বিদায় লইয়। ] যাক্টয়া নিভৃত এক গুহার ভিতর । তথায়ু গোপন কৈল স্বীয় কলেবর } সে বিজন স্থান নাহি জ্ঞানে কোন স্ত্রন । এক মাত্র রানে সেই বিজন ভবন II আধুমাস কাবু লুকাটল এই মনে । পাছে বা কহিতে হয় নৃপতি সদনে II তাহার অস্তরে নাহি ছিল অভিলাষ । ভূপের নিকটে ইহা করিতে প্রকাশ । این নৃপতি, নন্দনে ভাল বাপিতেন মনে । হইতেন ছুখযুত না দেখিলে ক্ষণে ॥ মেমন অন্ধের নড়ী দরিদ্রের ধন | সেই ৰূপ নৃপ পক্ষে ননাথ-নন্দন ॥ অবনীশ অনুজ্ঞা করিল অনুচরে। নুর্মিষ্ঠানে আনিবারে তাহার গোচরে ॥ অনুমতি অনুসরি অনুচর গিয়া । সভায়ু আইল শত্ৰ ন পসুতে নিয়া । নিকটে পাইয় পুত্রে পৃথিবী-ভুষণ । করেন বিবিধ প্রশ্ন ক্তিজ্ঞাসা তখন : গুৰু আজ্ঞা অনুসারে রাঙ্গার নন্দন । কিছু মাত্র মা কহিল উত্তর বচন ॥ তা মুখে ভূমি পুষ্ঠে করি নিধীক্ষণ । করিতে লাগিল পদে অবনী লিখন | ইহা দেখি হাসাকিন স্মিয় হইল । কুমারের ভাব কিছু বুঝিতে নারিল ॥ ব্যাকুল হইয়া চিত্তে কহেন তখন । “কে ন পুল্ল ! আমি তোরে দেখিরে এমন? উদ্ভব না দাও কেন আমার বচনে । তোমার এমন ভাব হুইল কেমনে? ] হারালে কি বাক-শক্তি ওরে বাছাধন । তেকারণে না পারিলে কহিতে বচন | অথবা কি দুঃখোদয় হয়েছে অস্তরে । কিম্বা কেহ অপমান করিয়াছে তোরে ॥ কাতর হয়েছি পুত্র নীরবে তোমার ! কথা কয়ে রাখ বাপ জীবন আমার, এইৰূপে নরপতি খেদে যত ভাষে । তথ: কুমার মাতি বচন প্রকাশে }