পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুরকীয় ইতিহাস । কামিনী অস্তৃঢ় ছিল পিতার আলয় । । যুবকের ইচ্ছা তারে করে পরিণয় | কামিনীরে! সেইৰূপ ইচ্ছা ছিল মনে । যাহাতে বিবাহ হয় যুবকের সনে ॥ | ভয়ের সে অাশ সফল ন হইল । - বিধাত বিষাদ এই সাধে ঘটাইল । কামিনীর পিতা সেই বিখ্যাত নগরে । । বাগদত্ত হয়ে ছিল অন্য এক বরে | শুভক্ষণে করি শুভ লগ্ন নিৰূপণ । | কন্যার বিবাহ হেতু কৈল আয়োজন ॥ সমারোহে তনয়ার বিবাহ কারণ । ফুটুম্ব বান্ধবগণে কৈল নিমন্ত্রণ | | যেই দিন কামিনীর হবে পরিণয় | সেই দিন যুবকের সঙ্গে দেখা হয় | | নিভৃতে নায়ুক প্রতি কহিছে কামিনী । “তাঞ্জি নাথ পোহাইল কি কাল ধামিনী

|

মনের ভরস অাশা হইল নিস্ফল । অমৃত চাহিতে শেষে পেলেম গরল | তব সহ প্রেমালাপে কাটাইব কাল । সে অাশা নিরাশা এবে বিধি হৈল কাল । আজি অন্য সহ মম হবে পরিণয় | স্মরিয়ু একথা মম বিন্দরে হৃদয় | প্রতিকুল হইলেন জনক জননী । তোমাপনে বঞ্চিত হলেম গুণমণি’ | | একথা শুনিয়া যুব হইল বিস্ময় । | শিরে যেন বজ্ৰাঘাৎ হয় সে সময় | চারি দিক শুন্যময় করে দরশন। আলোতে তাধার বোধ হইল তখন | কামিনীর প্রতি কহে করিয়ু বিনয় । ‘’ কি কথা শুনালে প্রিয়ুে বিদরে হৃদয় ॥ অভাগার ভাগ্যে শেষ এই কি আছিল । তোমাতে বঞ্চিত প্রিয়ে হইতে হইল । ভালবাসা ভাল আশা সকল ঘুচিল । অবশেষ বিরহে কি দহিতে হইল ॥ পরাণ প্রতিম। তুমি প্রেয়ুসী আমার ! এত দিনে শুন্য হল হৃদয় ভাণ্ডার ॥ প্রাণসম তুমি আম! আমি দেহ প্রায়। প্রাণ গেলে দেহ বল থাকিবে কোথায় ] জীবন সৰ্ব্বস্ব ধন তুমি সে আমার । তোমাবিন এসংসার সকলি আসার” | ?'; এতবলি বিদগ্ধ বিদগ্ধ শোকানলে । বদন ভাসিছে তার নয়নের জলে | বদনেতে বাণী হীন ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস । কাঠের পুত্তলি প্রায় নাহি স্ফ রে ভায । নায়ুকের এতাদৃশ গতি দরশনে। নায়িক সান্তন করে প্রবোধ বচনে I “কেন নাথ এতাদৃশ হইলে ব্যাকুল । অকুলে পড়িলে পুনঃ লোকে পায় কুল । ধৈৰ্য্যধর পরিহর মনের বেদন । তোমা ভিন্ন আমি তাঁর কদাচ হবন ॥ অদ্য নিশি তব স্থানে করিব গমন । নিশ্চয় জানিহ বধু আমার বচন ॥ প্রতিজ্ঞ করিনু আমি সম্মুখে তোমার। নিশিযোগে তব সহ করিব বিহার’ { এত বুলি সান্তন করিয়া প্রিয়জনে । রঙ্গিণী রঙ্গেতে গেল আপন অঙ্গনে | অশ্বিাসে বিশ্বাস করি নাযুক তখন ! পবন গমনে চলে তাপন ভবন II হেথায়ু কন্যার পিতা সমারোহ করি । তনয়ার বিভদিল জাগিয়ু সৰ্ব্বরী ॥ বর কন্য। বাসর গুহেতে প্রবেশিল । পুরঞ্জন গণ সব নিদ্রায় মোহিল ॥ সুপাত্র সে পাত্র অতি সমাদর করি । প্রেমালাগে প্রবত্তিল তুষিতে সুন্দরী ॥ কিন্তু রমণীর মন সুস্থ নাহি ছিল । স্বামীর সে হাগ সব উপেক্ষা করিল | এলাইত ভূষাবাস স্বলিত কুস্তল । নয়ুনেতে অনিবার ঝরিতেছে জল | বিলাপ করিয়ু রাম করয়ে ক্রমদন । সজল মলিন মাখি মলিন বদন | গতি দেখি পতি তার অতি বিনয়ুেতে | বলে প্রিয়ে হেন ভাব কেন এক্ষণেতে II কিসের কারণ তুমি করিছ রে দিন । বিনোদিনী বলন। অামারে বিবরণ } মম প্রতি প্রীতি কি প্রেয়সী নাই তব | ভাবেতে অভাব কেন হয় অনুভব } মনোজ্ঞ তোমার কি মহিষী নহি অtfণ } বিধুমুখী বিষাদিনী কেন হলে তুমি ॥ বিফলে সুখের নিশি প্রায় যে প্রভাত। বারেক কাতর প্রতি কর নেত্র পাত ;