পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉R কি করে দরিদ্র তারা সবে নিরাশ্রয়। কেহ ন পারিল দিতে ধারশে আশ্রয়। তথচ জনেক তার অতি সমাদরে । জীর্ণ পেশোয়াজ দিল ভূপতিব তার। অর জন দিল জুতা অতি পুরাতন। সবে নৃপে লয়ে করে নগরে গমন । ক্টহারে ঈশ্বর স্থানে কর সমর্পণ । সকলে আপন গৃহে করিল গমন। নিরাশ্রয় নিরুপ{য় হইয় রাজন। একাকী নগর মধ্যে করেন ভ্রমণ ॥ নয়ন প্রত্যক্ষ হলে নব দ্রব্যচয় । অবশ্য নরের হয় প্রফুল্ল হৃদয় । কিন্তু তার হইয়াছে যে দৈবঘটন। সে চিন্তায় সমাকুল অস্থির জীবন ৷ একীরণ যে সকল করেন দর্শন । কিছুতেই তৃপ্ত নাহি হয় তঁর মন । শনে দুঃখে রাজপথে করেন ভ্রমণ। ন জানেন কি হইবে অদুষ্টে তখন | ভ্রমণেতে শ্রান্তিযুক্ত হয়ে সেইক্ষণ। করেন বিশ্রামহেতু স্থান অন্বেষণ । নিকটে দেখিয় এক পাটনীর ঘর। তাহার সম্মুখে বসিলেন নরেশ্বর ॥ শ্রান্তযুক্ত দেখি তীরে পাটনী তখন। আসিতে অtলয়ে তার কৈল নিমন্ত্রণ। পাটনীর দ্বারে এক ছিল কাঠাসন । তাহাতেই বসিলেন অবণী-দূষণ । (পাটনী কহিল)“ তুমি কোন ব্যবসাই? কি কারণে এইস্থানে দেখিবাধে পাই ? (ভূপতি কহিল সেই পাটনী সদন। যরূপ কহিয়াছিল কাঠরীয় গণে)। “ পৰ্ব্বত-শিখরে অতি-বিজন-কাননে । হইল সাক্ষাৎ মম কাঠুরিয়া সনে । তাহার। অামার দুঃখ করিয়া শ্রবণ। জীর্ণ পেশোয়াজ জুতা করেছে অৰ্পণ । অতি সুমামুষ তার কহিবার নয় । এ বিপদে মম প্রতি হইল সদয়” । (পাটনী কহিল)“তুমি না কর চিন্তন। তোমার মঙ্গল শুনে সন্তোষ জীবন | এ ঘোর বিপদে রক্ষা পেয়েছ যখন । মনেতে বিষাদ আর করে। ন কথন । তুর্কীয় ইতিহল। যৌবন বয়স ভৰ সৰ্বল হৃদয় । এদেশে থাকিলে হবে সুখী অতিশয় । বিদেশিব পক্ষে শুভকরী এই দেশ । অধিক ভোমারে আর কি কব বিশেষ" | (ভূপতি কহিল সেই পাটনীর প্রতি) । " হেন মনে তুমি না করিস্থ মহামতি । এই সে বাসনা মম জেনো সরোদ্ধার । কিসে পুনঃ প্রাপ্ত হই ৰিষয় আমার” । (পাটনী কহিল) "যুদ্ৰা ! মম বাক্য ধর । হইবে তোমার হিত ম হও কাতর । স্ত্রীদিগের স্নানগৃহ সম্মুখেতে গিয়া । অবিলম্বে থাক তুমি ফটকে বসিয় । গৃহহতে বাহির হইবে যে রমণী । তাহারে জিজ্ঞাসা তুমি করিবে তখনি । পরিণীত তুমি কি না কহ লো যুবতি । ন বাক্য বলবে যেই শুনি এভারতী । দেশের নিয়মে সেই রমণী রতন । স্বামিত্বে তে মারে আtশু করিবে বরণ । মুখেতে রহিবে হবে অtশার সুসার । এ দুদুশ কিছুমাত্র থাকবে না অরি”। প্রবীণের উপদেশ করিয়া শ্রবণ। সন্মত হইল রাজা করিতে তেমন ॥ সন্ত্রমে প্ৰণাম তারে করি ভূভূষণ। বৃদ্ধ নিদেশত স্থানে করিল গমন । সেই স্থানে উপবিট হয়ে ক1%াসনে । বিবিধ বিষয় চিন্তা করছেন মনে। হেন কলে নারী এক পরম সুন্দরী । স্বনাগরহতে অসিতেছে তুরা করি । নিরখি নরেন্দ্র তরে করেন চি ন । “ রমণীয় রূপ। এই রমণী রতন । যদ্যপি অমুঢ় ধনী থাকে এসময় । তবে কি হইবে মম ভাগে। শুভে,দয় । পুৰ্ব্বের বিপদ রাশি হয়ে বিস্মরণ । এর সহ করি কর্ণল সুখেতে যাপন” । এত চিন্তি কামিনীকে কহেন তখন । বিবাহিত কি ন তুমি কহ বিবরণ ? ললনা ছলন ত্যজি কাহল রাজনে । “হে যুবক । আমি বিবাহিত জেনে মনে”। এত বলি সে রমণী করল গমন । আর এক নারী তথালি দর্শন।