পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুরকীয় ইতিহাস । তাহলে ইহার দণ্ড হস্তের কৰ্ত্তন । মহম্মদ ভাবিজ্ঞের নিয়ম এমন । ( চোরের বিচার শেষ করিয়ু তখন । খুনীর বিচার করে রাঙ্গার নন্দন ) , অভিযোক্তা প্রতি কহে রাজার কোঙর। “কার্য্যতঃ মনেতে দোষ’অনেক অন্তর || এই ব্যক্তি পিতৃবধ মানস করিয়া । নিবিড় কানন মধ্যে ছিল লুকাইয়ু । পিতৃবধে মহা পাপ জানি ইহা মনে । অনুতাপ করেছিল ইহার কারণে । এই হস্তগত ছিল জনক তাহর । থাকিতেও জনকেরে করেনি সংহার } দোষের কপন মাত্র করেছিল মনে । অস্ত্র না চালায়ে ছিল পিতার নিধনে ॥ অতএব এইঞ্জনে ক্ষমিতে উচিত । তামার মতেতে এই বিচার বিহিত If ( যখন নরেন্দ্র-সুত ন্যায় ব্যবহারে । প্রবৃত্ত হইল লম্পটের সুবিচারে । অভিযোক্ত গণে কহে ) “ শুন দিয়া মন ব্যবস্থায় এই মাত্র করে প্রয়োজন | ব্যভিচারী জন-দোষ প্রমাণ করিতে । চারি জন সাক্ষী প্রয়োজন করে ইথে { ব্যভিচার কার্ঘ্য তার হেরেছে নয়নে । স্বৰূপ বচনে সাক্ষ্য দিবে চারিঞ্জনে । শি ভূ তারা দৈবাৎ করেছে দরশন । সংকল্প করিয়া তথা করেনি গমন II ব্যভিচার কারী জনে করিতে বঞ্চন । অাড়িপাতি যদি তারা করে দরশন | তবে ন্যায় ব্যবস্থায় অাছে এই ধারা । মহম্মদ বাক্য মতে দোষী হবে তার } ভবিযদ্বক্তা মহম্মদ অবতার } এই কথা অবনীতে করেন প্রচার }} অন্যের দাম্পত্য যে করিবে দরশন | ঈশ্বরের স্থানে দেীি হবে সেইজন II লোক চক্ষে যে করিবে দাম্পত্য বিহার । অপরাধ লইবেন ঈশ্বর তাহার II ইহাতে তোমরা দোষী হলে চারিঞ্জন । কর্মের উচিত দণ্ড পাইবে এখন ... I এত শুনি চারিঞ্জন হয়ে ভীতমন । নৃপত্মিজ স্থানে করে ক্ষমার প্লtখন II | 8 st তাদের কাকুক্তি সব করিয়া শ্রবণ । সবাকারে কৈল ক্ষমা নরেশ নন্দন II তদন্তর রুদ্ধ ইথোপিয়ু অধিপতি । পুত্রের দক্ষত দৃষ্ঠে আনন্দিত অতি । করেতে ধরণ কবি কর্মীয় নন্দনে | ষত্নে বসাইয়৷ তারে স্বীয় সিংহাসনে II যাবত অমাত্য বগে হইয়ু বেষ্টিত । স্বতনয়ে করে রাজা সন্তোষ সহিত | “হে ! আমার প্রিয়-পুঞ্জ গুণের ভাঙ্গন। তোমারে প্রদান কৈলু মম লিংহাসন II তুমি সে সুদক্ষ রাজ মুকুট ধারণে । ঈশ্বর করুন বীপ থাকহ কল্যাণে }} কুশলে করহ সদা রাজ্যের পালন। অবকাশ পেয়ে করি ঈশ্বরে সাধন * II রাঞ্জার কনিষ্ঠ পুত্ৰে পাইয়। রাজন। প্রস্তাপুঞ্জ সকলেতে আনন্দে মগন । ভক্তি ভাবে সকলেতে হয়ে এক মন । ঈশ্বরের কাছে করে মঙ্গল প্রার্থন । নব নরপতি পেয়ে সকলে নন্দিত। রাজ্যময় উৎসব হইল অপ্রমিত । উপাখ্যান সমাধান করি মন্ত্রীবর। করপুটে কহে হাসাকিনের গোচর । “ মহারাজ শুনিলেত কথোপসংহায় । কি কঠিন বভিচার করিতে বিচার । তথাপি আপনি এক রমণীর ভাযে । উদ্যত হয়েছ প্রণিভুল পুত্ৰ নাশে II কোরাণে ঈশ্বর বাক্য লিখিত এমন । যেঞ্জন করয়ে স্বীয় রিপুর দমন II ক্ৰোধ ৰূপ মহা রিপু বশ্য হয় যার । ঈশ্বর না লন কভু অপরাধ তার II কয়েছেন মহম্মদ এই সে বচন । ক্ৰোধ অশ্বে রাসরঞ্জ যে করে যোজন । শত্রু বর্গে ক্ষমা করে যেই সদাশয় । তাহার মঙ্গলোদয় চরমেতে হয় ] মহা বিচারের দিনে সেই পুণ্য জন । ঈশ্বরের এই কথা করিবে শ্রবণ II “ হে ! আমার প্রিয়োত্তম সেবক নিকর } ইন্দ্রিয়ু নিগ্ৰহ করিয়াছ নিরস্তর }