পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ o দিল লে এমন ভার তাহীদের প্রতি । বৎসরের মধ্যে কারে না হইবে গতি ॥ জন-শূন্য দুই জনে হইনু ধখন । বহু মূল্য রত্ন সব করিন্থ গ্রহণ ॥ মেমন হইল নিশি অমনি দুঙ্গমে । পলায়ন করিলাম অতি সংগোপনে } স্ব1র বদ্ধ করি চাবি করিয়া গ্রহণ । বসরার পথে দোহে করিনু গমন ॥} সে নিশি কামিনী সহ সত্বর গমনে । এড়ালাম বহু স্থান অতি সংগোপনে ॥ পর দিন প্রত্যুষে কএক দণ্ড পরে । দুই জনে উত্তরিনু বসরা নগরে ॥ পথশ্রাস্তে শ্রান্ত অতি কামিনী হইল । তাধিক চলিতে তার নাহিক পারিল ॥ রমণীকে ক্লাস্তু। দেখি আমি সেইক্ষণ । বসিলাম সরোপীর কুলেতে তখন ॥ সম্মুখে প্রাসাদ এক দেখিহু উত্তম । রাজাধিরাঞ্জের যোগ্য ধাম মনোরম ; মুখ পদ প্রক্ষালণ করি সেই জলে । জল পানে শ্রান্তি দূর করি সেই স্থলে ॥ হেনকালে তথা দেখিলাম এক জন । কিঙ্কর নিকর সহ করিছে গমন | দুই জন দাস তার জাল করি ঘাড়ে অচিরে আইল সেই পুকুরের পাড়ে। তাহাদের দৃষ্টি পথে হইতে গোপন । শীঘ্ৰ তথা হৈতে দোতে করিনু গমন ॥ কিন্তু সে বিফল চেষ্ট হইল আমার । রমণীর প্রতি দৃষ্টি পড়িল তাহার } ললন। নয়নে তারে করে আকর্মণ । আমাদের নিকটে তাইল সেই জন । সন্তু মে সে সেবামাবে সেলাম করিল। যুবর্তী যুবক প্রতি প্রতিদান দিল । উভয়ের মন করে উভয়ে হরণ । । নয়ন ভঙ্গিম৷ দেখি জানিনু কারণ " শ্রাস্তযুত হেমাঙ্গিরে হেরিয়া নয়নে । যুবক বাসনা কৈল লতে স্বভবনে ॥ কামিনীর কাছে কহে পরিচয় তার | গায়াস-উদ্দীন নাম জানিবে আমার ॥ তুর্কীয় ইতিহাস । বসরার নরপতি খুল্লতাতামার } একমাত্র ভ্রাতৃপুত্র আমি হুই তার ॥ এ কথায় কামুকী হইল তুষ্ট কত । যাইতে তাহার সঙ্গে হইল সন্মত ॥ উভয়ের ভাব ভঙ্গি করি দরশন । সন্দেহ আমার মনে হইল তখন ॥ বিপদ আশঙ্কা আমি করিয়া মনেতে । চলিলাম নারী সহ কুমার সঙ্গেতে ॥ যুবক যুবতী পেয়ে পুলক অস্তরে । লইয়ু চলিল তারে তাপন অনদরে } মনোহর গৃহে এক লইয়া তাহারে । বলাইল রম্যাসনে যত্ন সহকারে | উভয়েতে একাসনে হয়ে উপবিষ্ট । করে কত প্রেমালাপ মনে হয়ে হাঃ ॥ হেনকালে তথা এক দাস ভাসি কয় । যুবরাজ হইয়াছে ভোজন সময়” ] এ কথা শুনিয়া বা প্রফুল্ল অন্তরে । সন্তুষ্ট অন্তরে ধরি কামিনীর করে ! সুসজ্জিত হে এক লইয়। তাহায় { যতনেতে বসাইল চিকন শয্যায় ] মনোহর সুন্দর সুরম্য সেই ধর । জড়িত জড়য়া কত তাহার ভিতর ॥ উপরে ঝুলিছে কাতৃ শোভাকব কত । দেয়ালে দেয়ালগিরি অাছে কতশত | কিংখাপের পাখী ঝুলে গৃহের ভিতর । মেঝেতে গালিচ পাতা দেখিতে সুন্দর { ভোজন তাধার মেজ শোভে মধ্যস্থলে । কারচোবের কাজকত তদোপরেজুলে | সুবৰ্ণ রঞ্জত পাত্র আর হেম ঝারি । সেই মেজে সাজায়ে রেখেছে সারি ২ } কাচ পৗত্রে পূর্ণ কত সুর মনোরম ; যাহার পানেতে ধটে জ্ঞানীর বিভ্ৰম । বিচিত্র সুচিত্র কত চিত্তকর ছবি । মণিময় দীপ্তময়ু যেন রবিছবি । হেন সুসজ্জিত গৃহে বসি দুই জন । পরম কৌতুকে সুখে করিছে ভোঞ্জন | আমিও তাঁদের পাশে বসিলাম এসে । ভোজ্য দ্রব্য দাসগণে যোগাইল শেষে { নানাবিধ ফলমূল উপঞ্জয়ে মুদ । বিবিধ প্রকার মাংস শাস্তি করে ক্ষুধা ॥