পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ 3 তুরকায় হাতহাস । বনিত বলিল মম এই আকুঞ্চন । তব সহ সুখে কাল করিতে যাপন ৷ কিন্তু যেই ভূত্য সঙ্গে এসেছে অমিীর । কি জানি দেশেতে গিয়া করয়ুে প্রচার } কোনছলে মোর দাসে দেহ তাড়াইয়া f হেনৰূপে যেন হেথ ন ত্যাসে ফিরিয়া ইহার সন্ধান যেন কিছু নাহি পায়। এইৰূপ যুক্তি তুমি করহ ত্বরায় ॥ এই ভাষে মম দাসে কহিনু তখন I রমণীর কিঙ্করের হরিতে চেতন ॥ মম অনুজ্ঞায় দাস সত্বর হইল । সুরাসহ চুর্ণ এক মিশাইয়। দিল ॥ সেই সুরাপৗত্র তীরে করিল প্রদান । সেঞ্জন আনন্দসহ করিলেক পান ॥ সেই সুরাপান মাত্রে চেতন হরিল। ভূমিতলে সেই স্থলে নিদ্রায় মোহিল ॥ মমাদেশে মম দাস তারে স্কন্ধে তুলে । লয়ে রাখিলেক গিয়া সরোবর কুলে | আর দাসগণে আমি কহিনু তখন। যদি সেই দাস পুনঃ করে আগমন ॥ প্রহার করিয়া তারে দিবে তাড়াইয়া । কোনমতে এই স্থানে না আসে ফিরিয়া যা কহিনু ভৃত্যগণে করিল তেমন । সেই দাস পুনঃ নাহি কৈল আগমন । তদন্তর কহি আমি রমণী গোচরে। কিছু চিস্তা নাই সেই কিঙ্করের তরে ॥ বোগদাদে যদি সেই যায় পুনৰ্ব্বার। তবু এ বিষয় নাহি হইবে প্রচার II কিন্তু পুনঃ ভাবি মনে যদি ইহা হয়। এত ভাবি ত্যজিলাম আপন অলিয়ু ॥ সে স্থান হইতে করি বলরায় বাস । কৌতুকে কামিনী সহ পূরে অভিলাষ ॥ কিছু দিন এইমতে করিনু বঞ্চন । শেষে ভাগ্যেঘটে বিধাতার বিড়ম্বন। পাইলাম সমাচার ৰোগদাদ-পতি । ক্রোধিত হয়েছে মম খুল্লতাত প্রতি ॥ প্রতিজ্ঞ। আপন মনে কয়েছে রাস্তল । অন্য জনে দিতে বসরার লিংহাসন ॥ আমাদের পরিবার স্থিত যতঞ্জল । করিবেন সবাকীরে প্রাণেতে নিধন | এই ভয়ে বলর তক্তিযু দুইজন ৷ অপভার বহুমূল্য লইয়া রতন ॥ নিভৃতে রমণী সহ করি পলায়ন । আপনার নগরেতে করি আগমন | পৌঁছিয়া হেথায় এক বাট ভাড়া করি । রমণীর সহ বৃঞ্চি দিবস শৰ্ব্বর। । হয়ে ললনার প্রেম অনুরাগ গামী । ধৰ্ম্মত বিবাহ এরে করিয়াছি আমি | প্রাণপণে তুষি মন করিয়া যতন । ভাবি সদ। এই যেন হৃদয়ের ধন ॥ প্রাণীপেক্ষ। ভালবাসি অস্তুরে আমার । সৰ্ব্বদা যতনে মন যোগাই ইহার ॥ কিন্তু পাপীয়সী নাকি দুশ্চরিত্রা অতি | নিযুত করয়ে পরপুৰুষেতে মতি | স্নেহে শৃঙ্খল মম করিয়া ছেদন । মম এক দাস প্রতি করিল মনন { নিভৃতে তাহার প্রতি কহিল রমণী। যদি তুমি বধ কর মন গুণমণি | তবে তব সক্ষে আমি করিব প্রণয় | দুই জনে সুখে কাল হরিব নিশ্চয় ॥ মম সে কিঙ্কর নাহি অকৃতঘ্ন ছিল । নারীর দুৰ্ব্ব দ্ধে নাহি সম্মত হইল । সেই দাস আসি মোরে কহিল সকল । শুনি ক্রোধানল হৃদে হইল প্রবল { ইহার উচিত শাস্তি দিবার কারণ " রমণীরে করিতেছি প্রত্নীর এমন । মালিক-নাঙ্গীর শুনি এতেক ভারতী । হাস্য করি কহিলেন যুবকের প্রতি ॥ রমণীর যোগ্য দণ্ড এ নহে নিশ্চয় । ধরায় রাfখতে এরে উচিত না হয় । এত বলি দাসে করে অনুজ্ঞা তখন । নাইল নদীতে এরে দেহ বিসর্জন । যে আজ্ঞা বলিয়া দাস চলিল লইয়ু । তরঙ্গিণী স্রোতে তাৱে দিল ডাসাইয়া ॥ নদীর প্রবাহে তাকে লইয়া চলিল । অরণ্য নিকট তীরে তাহারে রাখিল ৷ তথায় নিধন প্রাপ্ত হইলে তাহার ! শব গন্ধে নগরেতে হৈল মহামার II