পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २ কএক অধ্যায়ু সেই পড়িল কোরাণ । তুষ্ট হয়ে রাজা তার করিল সম্মান II ছহাজার মুদ্রা তারে দিয়া পুরস্কার । উদাসীনগণে দান কৈল অৰ্দ্ধ তার । কাণ খোড়া ব্যাধি যুক্ত ছিল যত জন । তাদিগে ছশত মুদ্র কৈল বিতরণ II তদন্তে তন্ত্যষ্টি ভোজ সমাধা হইল । স্বর্ণ খালে যে সব সামগ্ৰী এসেছিল ]] যাহার সম্মখে যেই পাত্ৰ দিয়াছিল। সেই থাল তার জন্য উৎসর্গ হইল । তদন্তর নরপতি সদয় হইয়া । কুমার কিঙ্করগণে দিলেন ছাড়িয়া । এই সব নিৰ্দ্ধার্য্য করিয়া নরেশ্বর । সেই দিন হইল পীড়িত কলেবর | অকস্মাৎ ব্যাধি আদি শরীরে জম্মিল | অশক্ত হইয়া তাহে শয্যাতে পড়িল । আসন্ন জ্ঞানিয়া কাল ভূপ সেইক্ষণে । ডাকাইয়া আপনার পুত্র তিনজনে । কহিলেন মম বাক্য শুন পুত্ৰগণ । তোমাদের জন্য কিছু রেখেছি রতন | আমার শয়ন গৃহে বাম পাশ্বে গিয়ু । রন্ধ পূর্ণ বাক্স এক সহগে তৃলিয়া | ষে সব উত্তম রত্ন পৃথিবী ভিতরে । তাই রাখিয়াছি যত্নে তোমাদের তরে । অামার মৃতু্যর পরে সে সব রতন । সম ভাগ করি লবে ভাই তিন জন । কি তার অধিক কব তোমাদের প্রতি | থাকিতে জীবিত অামি করেছি সদগতি ॥ এত বলি মহারাজ ত্যঞ্জিল জীবন । পুত্ৰগণ করে অস্ত্যষ্টির আয়োজন । রস্থলোভে নৃপতির কনিষ্ঠ কুমার। প্রবেশিল ভূপতির শয়ন আগার II রন্ধগণ দরশনে হইয়া হৰ্মিত । আপনি লইতে তাহ হইল বাঞ্ছিত। ভ্রাতৃদ্বয়ে ভাড়াইব মন্ত্ৰণ করিয়া । তুরকায় হাতহাস । ভূপের অস্ত্যষ্টি ক্রিয় হলে সমাপন। জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম দুই নৃপের নন্দন ॥ রত্ন দরশনে হয়ে সমংযুক মন । সেই গৃহে সত্বরেতে করিল গমন II ইতস্ততঃ অন্বেষণ করি সমুদয় । রত্ন না পাইয়ু মনে হইল বিস্ময় । করিতেছে তাহার। যখন অন্বেষণ । কনিষ্ঠ কুমার আদি দিল দরশন | ভ্রাতৃগণে সম্বোধিয়া কহিল কুমার। “দেখিলেন কেমন গে রতন সন্তার II অগ্রঞ্জ কহিল ভাই কেন কর শ্লেষ } আমাদের হতে তুমি জানহ বিশেষ । অনুমান করি তুমি লয়েছ রতন । নতুব কহিবে কেন বচন এমন ||” “কনিষ্ঠ কুমার কহে একি চমৎকার। আপনার লয়ে দোষ দিতেছ আমার । উভয়ের এইৰূপ বচন শ্রবণ । করিয়া, মধ্যম কহে, গুন ভ্রাতৃগণ । তামাদের তিন জ্ঞন মধ্যে কোন জন । রত্নী ধাঁর সহ রত্ন করেছে হরণ }। নতুবা কাহার সাধ্য হইবে এমন । অামাদের বিন হেথা করিবে গমন । অামার বচন যদি ক রহ শ্রবণ । কাঞ্জিরে ডাকায়ে কর বিচার এখন }। কঞ্জি সে চতুর বড় বুদ্ধিবান অতি । অনায়াসে পর চিত্ত করে তাবগতি । অামাদের বিচার করিলে সেই জন । অবশ্য চোরের হবে সন্ধান তখন* } এবচমে দুই জনে সম্মত হইল। বিচারাধে বিচারকে ডাকিয়ু আনিল । কাঞ্জি উপস্থিত হয়ে কহিল তখন । | ! | “আমার বচন শুন রাঞ্জ পুত্ৰগণ । তোমাদের এ বিষয় বিচার পূৰ্ব্বেতে। কাহিনী কহিব এক সৰ্ব্ব,সমক্ষেতে | মনোযোগ দিয়া সবে করাহ শ্রবণ | * এত বলি কাজি গম্প কৈল অরিন্তন । এক দেশে ছিল এক যুবক যুবতী ! অীগে ভাগে সেই সব রাখে লুকাইযু উভযুের ছিল প্রীতি উভয়ের প্রতি ॥