পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 তৃণান্ধুর DBBBBD DB gB BDDD BDDBDBBDBD BDD DDDBBDSS S DBBD DBD BB DB আরও অনেক বেশী সম্ভাব্যতা, অনেক বেশী আধ্যাত্মিকতা, অনেক বেশী জটিলতা, আরও বেশী রহস্য। নিজেকে দীন বলে “মায়া” কর্তৃক প্ৰতারিত দুর্বল জীব মনে করার মধ্যে যে কোনো সত্য নেই, এটা সাহস করে এরা মেনে নিতে পারেন না । নীরোদদের বাড়ী কাল সন্ধ্যার সময় বসে একটা প্ৰবন্ধ পড়ছিলুম একখানা ইংরাজী পত্রিকাতে। এই কথাই শুধু মনে হোল আমরা জীবনে একটা এমন জিনিস পেয়েচি, যা আমাদের এক মুহুৰ্ত্তে সাংসারিক শান্তিদ্বন্দ্বের ওপরে এক শাশ্বত আনন্দ জীবনের স্তরে উঠিয়ে দিতে পারে-অনন্তমুখী । চিন্তার ধারা প্রবাহিত করে দেয়, এক মুহুর্তে সংসারের রং বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে। যখনই জগতের প্রকৃত রূপটির যে অংশটুকু আমরা চােখে দেখতে দেখতে যাই তা সমগ্রতার দিক থেকে আমরা দেখতে পাই, পরিপূর্ণ ভাবে জীবনকে আস্বাদ কবুবার চেষ্টা করি — ভূতত্ব, প্ৰাণীতত্ব, আকাশ, নীহারিকা, নক্ষত্র, অমরত্ব, শিল্প, সৌন্দৰ্য্য, পদার্থতত্ব, ফুলফল, গাছপালা, অপরাহু, জ্যোৎস্না, ছোট ছেলেমেয়ে, প্ৰেম-তখনই বুঝি এই বিশ্বের সকল সৃষ্ট পদার্থের সঙ্গে একত্ব অনুভব করা ও চারিধারে আত্মাকে প্রসারিত করে দেওয়াই জীবনের বড় আনন্দ । “আনন্দ’ উপনিষদের পারিভাষিক শব্দ, লঘু অর্থে সংসার চলে এসেচে। কিন্তু আনন্দ কথার প্রকৃত অর্থ উচ্চ জীবনানন্দ । “আনন্দাদ্ধেব খলু ইমানি সর্বানি ভূতানি জায়ন্তে” এখানে আনন্দের কোনো বৰ্ত্তমান প্ৰচলিত সাধারণ অর্থ নেই। আজ খুব বেড়ানো হোল। প্ৰথমে গেলুম বন্ধুর ওখানে। তার মোটরে সে প্রবাসী আফিসে আমায় নামিয়ে দিয়ে গেল। সেখান থেকে গেলুম সায়েন্স কলেজে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করবার পর ডাঃ রায় এলেন । তিনি সিণ্ডিকেটের মিটিংএ গিয়েছিলেন । তার সঙ্গে খানিকটা কথাবাৰ্ত্তার পর দুজনে বেরিয়ে পড়া গেল, একেবারে সোজা সারকুলার রোড দিয়ে মোটর হাকিয়ে প্রিন্সেপ ঘাট। বেশ আকাশের রংটা, ক’দিন বৃষ্টির জালায় অতিষ্ঠা করে তুলেছিল, আজ আকাশ পরিষ্কার হয়েচে, গঙ্গার ওপারে রামকৃষ্ণপুরে ময়দাকলগুলোর ওপরকার আকাশটা তুতে রংএর, পশ্চিম আকাশে কিন্তু