তৃণান্ধুর y G? উঠচে হয়ত। সেই সময়টা সেই, “আমার অপূর্ব ভ্ৰমণ” “রাজপুত জীবন সন্ধ্যা”-সেকি অপূর্ব শৈশবের আনন্দ উৎসাহ,-কি অপূর্ব বিচিত্র জীবনটা তাই শুধু ভাবি ৷ Sunrise filmটা মন্দ নয়। হিন্দুস্থান রেস্তোরায় খেতে গিয়ে গিরিজা বাবুর সঙ্গে দেখা, নমস্কার বিনিময় ও আলাপ হোল। -বাবু B. P. C. C. থেকে retrumed হয়েচেন শুনলুম, মনটা একটু দমে গেল। বায়স্কোপ দেখে ফেব্রুবার পথে দীনেশ দাসের সঙ্গে দেখা। প্ৰবাসী officeএ মানিকবাবু জানালে কেদারবাবু মঙ্গলবারে লেখা চান। আবার প্রবাসীতে যাবার আগে বিচিত্র অফিসে উপেনবাবু ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তিনিও খুব শীঘ্র লেখা চান। Sub Editor 44 declarations ig f(\S C3 fisfit efficiate তারপর বায়োস্কোপ থেকে গেলুম বিভূতিদের বাড়ী। নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দেখি বৈঠকখানাতে বায়োস্কোপ হচ্চে। বিভূতি বসতে বল্পে। তারপর দেবেন ও হীরুদের সঙ্গে খেতে বাসা গেল। অনেক দিন পরে আজ আবার সেই রাসপূর্ণিমা । বেরিয়ে অনেকদিন আগের মত একখানা রিকশা করে জ্যোস্নায় ও ছাতিম ফুলের গন্ধের মধ্য দিয়ে বাসায় ফিরলুম। সেই ১৯২৩ সাল ও এই । এই ছয় বৎসরে কত পরিবর্তন । কে জানত উপরে ডায়েরীটা লিখবার সময় যে এই দিনটাতেই রাসপূর্ণিমার বায়স্কোপের আসরেই ওদের বাড়ীর সিদ্ধেশ্বরবাবুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা ! বাসায় এসে বারান্দায় রেলিং ধরে জ্যোৎস্না-ভরা আকাশটার দিকে চেয়ে চেয়ে মনে হচ্চিল—যেন এক গ্ৰহদেব এই অনন্ত জ্যোৎস্নার মধ্যে দিয়ে হু হু উড়ে চলেচেন ওপরে—ওপরে-সজোরে-সবেগে-পায়ের নীচে পুরাতন পরিচিত পৃথিবীটী রইল পড়ে- । বহুদূর আকাশে যেখানে পরমাণু তৈরী হচ্চে, উস্কার ছুটুচে, ছায়াপথ ছড়িয়ে আছে, নক্ষত্র ছুটুচে-সেখানে । বন্ধুর জর হয়েচে-আজ দাদাকে পত্র দিয়েচি । দাদা যেতে বলেচেন, তা কি করে হয়! সেদিন বন্ধুর অত্যাচারের কথা কত শুনলুম। তার স্ত্রী, বোন ও শ্বাশুড়ীঠাকরুন বল্লেন । শুনে দুঃখ হয়, কিন্তু উপায় কি ! জ্যোৎস্নারাত্রে আমাদের বাড়ীটা বহুদূরে কেমন দাড়িয়ে আছে, কাঠ কাটা
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১
অবয়ব