পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ\ο তৃণান্ধুর হয়েচে, আমাদের বাড়ীর সামনে ছেলেবেলাকার মত পথের ওপর তার দাগ রয়েচে । শ্যামাচরণ দাদাদের কাঠ । সে এক জীবন ! কি বিচিত্র, কি অদ্ভুত, কি অপূর্ব এই জীবন ধারা। একে ভোগ কৰ্ত্তে হবে। এই অপূর্ব জ্যোৎস্নায় ইসমাইল।পুরের জন্যে মন উদাস হয়ে যায়। যেন তার বিশাল চরাভূমি, কালো জঙ্গল, নিৰ্জন বালিয়াড়ি—আমায় ডাক দিচ্চে। • কাল স্কুলে ছটায় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং, এদিকে আবার তিনটার সময় ডাঃ দের ওখানে চা পানের নিমন্ত্রণ। আজি দুপুরে মনে পড়ছিল (ifty-a aft(\, Travellrs return বইটা কি অপূর্ব emotion নিয়েই পড় তুম। বাল্যের সে সব অপূর্ব emotion মনে পড়লেই মনে হয় কি অপূর্ব, এক বিচিত্র এ জীবন-ধারা। সেদিনের সন্ধ্যায় নন্দরাম সেনের গলিতে যাওয়া, সেই চাউলের গুদাম-সেই শুভঙ্করী পাঠশালার সামনে আমার সহপাঠীর বাড়ী মনে পড়ে। दिक् श्न्द्र ! এসবের জন্যে কাকে ধন্যবাদ দেেেবা ?-কস্মৈ দেবায় হবিষ বিধেম ? আজ মনের মধ্যে যে তীব্র creative আনন্দ অনুভব করলুম, কলকাতায় এসে পৰ্য্যন্ত একবছরের মধ্যে তা হয় নি কোনো দিন । আজি সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ কি হোল আমার, অকারণে আনন্দে মনের পাত্র উপছে পড়াচে, একে যেন ধরে রাখা যাচ্ছে না। মন যেন কি বলে বুঝতে পারি নে। কত কথা মনে হোল। --সারা জীবনের আনন্দ ও সৌন্দৰ্য্য আজ আমার মনে ভিড় করেচে-স্মরণীয় দিন, অতি স্মরণীয় দিন, এরকম কিন্তু খুব বেশী দিন আসে না।-- ইনষ্টিটুটে সেই মহিলা-পৰ্য্যটকের কথা পড়ছিলুম-তুষারবষী শীতের রাত্রে উত্তরমেরু প্রদেশের বরফ-জমা নদী ও অন্ধকার অরণ্যভূমির মধ্যে তিনি তঁাবু ফেলে রাত্রে বিশ্রাম করতেন, দূরে মেরুপ্রদেশীয় Northern Lights জ্বলে, 43 fref 5ts-"amidst a waste of frozen river and dark forest”- সেখানকার নৈশ নীরবতা • • • নির্জনতা • • • গভীর শান্তি, মাথার উপর হলুদ রংএর চাদ, অবাস্তব, অন্য গ্রহের জ্যোতিষ্কের মত দেখায়-নৈশ আকাশে অগণ্য নক্ষত্ৰ-আশে পাশে শুভ্রতুষারাবৃত পাইন অরণ্যের আড়ালে লোলুপ নেকড়ের দল-আর ভাবতে পারা যায় না, মনকে বড় মুগ্ধ, অভিভূত করে।