Sbr তৃণান্ধুর আমাদের পৌত্র বা প্রপৌত্রদের Sense of space আরও কত পরিবৰ্ত্তিত হবে - আজ অনেকক্ষণ কার্জন পার্কে এক এক বেড়ালুম। পশ্চিম আকাশে সূৰ্য্যটা অস্ত যাচ্ছিল,-আমার শুধু মনে যুগ, যুগের কল্পনা জাগে। ঐ নক্ষত্রটা যে ওইখানে উঠেচে, ওতেও কত অপূর্ব জীবননীলা- মৃত্যু, বিরহ এসব যদি জীবনে না থাকতো তবে জীবনটা একঘেয়ে, বৈচিত্র্যহীন হয়ে পড়তোহারাবার শঙ্কা না থাকলে প্ৰেম, স্নেহও হয়তো গভীর ও মধুর হতে পেত না। তাই যেন মনে হয় কোন সুনিপুণ শিল্প-স্রষ্টা এর এমন সুন্দর ব্যবস্থা করেচেন। যেন অতি তুচ্ছ, দরিদ্র লোকেরও জীবনের এ গভীর অনুভূতির দিকটা বাদ না যায়। এ জীবনের অবদানকে খুব কম লোকেই বুঝলে-কেউ এ সম্বন্ধে চিন্তা করে না—সকলেই দৈনন্দিন আহার চিন্তায় ব্যস্ত। কে ভাবে জন্ম নিয়ে, মৃত্যু নিয়ে, আকাশ, ঈশ্বর, প্ৰেম, অনুভূতি—এসব নিয়ে-কার মাথাব্যথা পড়েচে ? নুটু ও নায়েব ও সন্তোষবাবুর সঙ্গে বেড়াতে গেলুম।-Lief Ericsson was space-hungry. So am I. জানি না কেন আজি ক’দিন থেকে মনটা কেবলই মুক্তির জন্য ছট্ফটু কাবুচে। কি ভাবের মুক্তি ? আমাকে কি কেউ শিকলে বেঁধে রেখেচে ? -ত নয়। কিন্তু কলকাতার এই নিতান্ত মিনমিনে, একঘেয়ে, ঘরোয়া জীবনযাত্ৰা, আজ পনোর বৎসর ধরে যে জীবনের সঙ্গে আমি সুপরিচিত,-সেই বহুবারদুষ্ট, গতানুগতিক, একরঙা ছবির মত বৈচিত্র্যহীন জীবন-যাত্রা আর उद् उठ्व् ब्लॉ८१ । । আজি দুপুর বেলা স্কুলের অবসর ঘণ্টায় চুপি চুপি এসে বাইরের ছাদটাতে বসেছিলুম। আকাশ ঘন নীল, কোথাও এতটুকু মেঘ নেই কোনোদিকেকেবল একটা চিল বহুদূরে একটা কৃষ্ণ-বিন্দুর মত আকাশের গা বেয়ে উড়ে ষাচ্চে-সেদিকে চোখ রেখে ভাবতে ভাবতে আমার মন কোথায় যে উড়ে গেল কি অপূর্ব প্রসারিত করে দেওয়ার আকাজক্ষা যে মনে জাগল-সে সব কথা কি লিখে বলা যায় ? মনের সে উচ্চ আনন্দের বর্ণনা দেওয়ার উপযুক্ত ভাষা এখনও তৈরী হয় নি। কিন্তু কেন সে আনন্দটা এল, তাও বুঝতে পারি।--সেটা এল শুধু জগতের বড় বড় মরু, বিশাল অরণ্যভূমি, দিকদিশাহীন সমুদ্র, মাঠ ও বনঝোপ, মুক্ত প্ৰকৃতির অপূর্ব মুক্ত রূপের কল্পনায়।
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪
অবয়ব