| ՀԵ তৃণাকুর সম্পদ, মাঠে, বনে ওর ঝাড় যখন ফুটে থাকে তখন বনের চেহারা একেবারে বদলে যায়-বনদেবীর সাজির একটা অযত্নচয়িত বনফুলের গুচ্ছের মত নিঃসঙ্গ মনে হয়-এই নিঃসঙ্গ সৌন্দৰ্য্য ওকে যে শ্ৰী ও মহিমা দান করেচে-তা আর কোনো ফুলে দেখলাম না। এই সুন্দর দেশে বাস করেও যারা মানসিক কষ্ট পাচ্ছে, আমার সাইমার মত-তাদের সে কষ্ট সম্ভব হচ্চে শুধু অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের জন্য। মনের সাহস এদেশটা তারাতে বসেচে-কল্পনার উদারতা নেই, সুদৃঢ় বিস্তীর্ণতা নেই-দৃষ্টি সেকেলে ও একপেশে, তার ওপর মনের মধ্যে জ্বলেনি। জ্ঞানের বাতি। এত করে সইমাকে বোঝাই, সে শিক্ষা সাইমা নেয় না, নিতে পারবেও না-কতকগুলা মিথ্যা সংস্কার ও কাশীরাম দাস এবং কৃত্তিবাস \SKK sbfGVO KI VSKISS False Philosophy AMCf3 Tf8ffFVD CANÇ3Cs মনের সর্বনাশ করেচে। জীবনের সহজ দৰ্শন এদের নেই, বুড়োবিয়েসেও ভালো করে এখনও চোখ ফোটেনি-কি করা যায়। এদের জন্যে, সর্বদাই সে কথা ভাবি । শিক্ষা দ্বারা মানুষ নিজেকে নিজে পায়, এইটাই জীবনের বড় লাভ । ভগবানকে পাবার আগে নিজেকে লাভ করা যে আবশ্যক তা এর ভুলে গিয়ে শুধু ভগবান, ভগবান বলে নাকে কঁাদিতে থাকে নিতান্ত দুর্বল, BDDBDBDBS BDBDSS SuBDBDS DDBBB DDS SDi BDBB BDB LLLBDD D কোনোদিন । সারা পল্লী অঞ্চলগুলো এমন হয়ে আছে, এদের দুঃখ দূর কৰ্ত্তে গেলে তো জঙ্গল কাটালে হবে না, মশা তাড়ালেও হবে না ( সেটা যে অনাবশ্যক, তা আমি বলচি না ) মাসিক কিছু অর্থ সাহায্যের বন্দোবস্ত কল্পেও হবে নাএর জন্যে চাই জ্ঞানের আলো-উদার, বিপুল, দীপ্ত জ্ঞানের সার্চ লাইট । আজ অনেকক্ষণ দাসী পিসিমার সঙ্গে গল্প কম্বুম। সেকালের অনেক কথা হোল। ওই সবই আমার জানিবার বড় ইচ্ছে। ঠাকুমাদের চণ্ডীমণ্ডপের ভিটাতে দুর্গোৎসব হোত, বড় উঠোন ছিল-আন্নাপিসি দুবেলা গোবর দিতেন, খুব লোকজন খেতি-নারিকেল গাছের পাশে ওই যে সুড়ি গলিটা ওইটা ছিল খিড়িকীর দোর-মেটে পাঁচীল ছিল। ওদিকটা । গোলক চাটুয্যে ছিলেন বাবার মামাতো ভাই-পিসিমার মা ছিলেন ব্ৰজ চাটুয্যের পিসি। রাখালী পিসিমা ছিলেন চন্দ্ৰ চাটুয্যের মেয়ে। প্রসঙ্গতঃ বলা যাক যে আজই রাখালী পিসিমার মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেল। যাবে যাবো করে।
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪
অবয়ব