পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Sხ8 फूiांछूद्भ দেখা হোল না-অনেক দিন পরে অজয়ের সেই শৈশবে-শোনা গানটা যেন কোথায় বসে গাচে মনে পড়ে । “চরণ বৈ মধু বিন্দতি' চলা-দ্বারাই অমৃত লাভ হয়, অতএব চলো। দেশ থেকে এসে আজ একেবারেই ভাল লাগচে না। বৈকালগুলির জন্যে মন কেমন করচে, কুষ্ঠীর মাঠের জন্যে, খুকীর জন্যে, ইছামতীর জন্যে, ফণি কাকার জন্যে-সকলের জন্যেই মন কেমন হয়েচে । ছেলেবেলায় দেশ থেকে বোর্ডিং-এ ফিরলে এমনটী হোত, অনেক কাল পরে মানস ইতিহাসে তার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। কাল কলকাতাটা যেন নতুন নতুন লাগছিল-যেন এ কোন শহর-এর LLLL CD BBDBD LDBBLD DBD BD DDDB DBD DBBDS BDDDS বাজার পত্রিকার ওই গলিটি, কলেজ ষ্ট্রীটু, ওয়েলিংটন ষ্ট্ৰীটু সব তাতেই লোকে একটা কিছু করচে, ব্যস্ত-ক্ষিপ্র, ছুটুছে, বাস থেকে নামচে- দেশের মানুষদের সে মৃতের মত জড়তা, অলস ও কৰ্ম্মকুণ্ঠতার পরে এ সব যেন নতুন লাগল। দিনটি কাটুল বেশ ভালোই। সকালে উঠে সজনীর সঙ্গে গেলুম কঁচরাপাড়া, সেখান থেকে বড়-জাগুলো হয়ে মরিচ। এত ঘন জঙ্গল যে কলকাতার এত কাছে থাকৃতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করুবার প্রবৃত্তি হয় না। সেখানে গিয়ে ঔষধ সংগ্রহ করে কঁচরাপাড়ায় এলাম। বাস রিজার্ভ করে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আসা গেল। কঁচরাপাড়া মাঠের মধ্য দিয়ে মোহিত মজুমদারের কাছে। মোহিত বাবু শোনা গেল শা’গঞ্জ গিয়েছেন, কঁচরাপাড়া বাজারে একটা দোকানে কিছু খেয়ে নিয়ে বাসে করে এলুম হালিসহর খেয়াঘাটে। এই ঘাটে অনেকদিন আগে দিদিমা থাকতে একবার সর্বপ্রথম কেওটা এসেছিলুম, হালিসহরে থাকৃতে । মোহিত বাবুর ওখানে খাওয়া দাওয়া হোল, অনেকক্ষণ সাহিত্য সম্বন্ধে বিশেষ করে বর্তমান তরুণ-সাহিত্য সম্বন্ধে কথাবাৰ্ত্তা হোল। ভদ্রলোক প্ৰকৃত কবি, সাহিত্যই দেখলুম ওঁর প্রাণ, কবিতা পড়তে বসে যখন ছেলেমেয়ের র্তার কোল থেকে টানাটানি করে রসগোল্লা খেতে লাগল-তখন সে বি দৃশ্যই হােল! বেরিয়ে আমি আর মোহিত বাবু কেওটায় প্ৰসন্ন গুরুমশায়ের পাঠশালায়