8S তৃণান্ধুর একটা কথা এই মাত্ৰ ভাবছিলাম রামায়ণ মহাভারতের যুগের পূর্বে ভারতের বালকেরা, বুদ্ধের কি ভাবতে-তখন জীবনের ভাব-সম্পদ ছিল দীন-সীতার অশ্রুজিল তখন ছিল লোকের অজ্ঞাত, ভীষ্মের সত্যনিষ্ঠা, শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা, এ সব তো জানতো না। বুদ্ধের কথা বাদ দিলাম, অশোক, চৈতন্য, মোগল বাদশাহগণ, এই সমস্ত Tragic possibility ভবিষ্যতের গর্ভে ছিল। লীন—তবে তখনকার লোকে কি ভাবতো, কবিদের, ভাবুকের, গায়কের । চিত্রকারের উপজীব্য ছিল কী ? আর পাচশত বছরের সম্ভাব্যতার কথা মনে উঠচে । আরও কত Tragedyার বিষয়, ভাবুকতার ইতিহাস ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে এর মধ্যে। সেটা এখনই গড়ে উঠচে, কিন্তু আমরা তার সমস্তটা এক সঙ্গে দেখতে পাচ্চিনে। এই ইংরাজ চলে যাবে একদিন-এই সব স্বাধীনতা সংগ্রাম, এই গান্ধী, নেহরু চিত্তরঞ্জন এই নারী-জাগরণ, কঁাথির এই অশ্রুতীর্থ-ইতিহাসে এসব কথা নব নব ভাবের জন্মদাত্রী হবে । এ সব ঘটনা জাতির মনের মহাফেজখানায় অক্ষয় আসনের প্রতিষ্ঠা করবে। কাল সারা দিনটা বড় ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটলো-প্রবাসী অফিসে একটা কাজ ছিল। ঠিক বেলা বারোটার সময় সেখান থেকে বার হয়ে গেলাম। প্রেসিডেন্সী কলেজে রবীন্দ্ৰ পরিষদে ! নীহার বাবু বল্লেন পথের পাঁচালীকে আমি তরুণ সাহিত্যের মধ্যে উচ্চ আসন দিই। প্রমথ বাবু আবার বইখানির কথা অনেক ছাত্রদের বলছিলেন। প্রতুল গুপ্ত বলে ছেলেটি বঙ্গ সাহিত্যের বিজয়ী সেনাপতি বলে অভ্যর্থনা কল্পের্ক। সোমনাথ বাবু বল্লেন, আপনি বৰ্ত্তমান আধুনিকতম সাহিত্যের বড় ঔপন্যাসিক-আপনাকেও কিছু বলতে হবে! খুব अॉनन काल । ওখান থেকে বার হয়ে যাবার কথা ছিল সাহিত্য সেবক সমিতির অধিবেশনে কিন্তু তা আর যাওয়া সম্ভব হোল না। প্রমথ বাবুর সঙ্গে গল্প কৰ্ত্তেই বেজে গেল ন’টা। অতুল গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন—তিনি আমার বইখানার খুব প্ৰশংসা কল্পেন। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন ল’ কলেজে। তঁাকে বল্লম সে কথা । আজ একবার দুপুরে কাজে গিয়েছিলাম। অক্ষয় বাবুদের বাড়ীতে । শীতল
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮
অবয়ব