পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 डूवांछूद्ध বিলাসপুরে নেমে ঝড় বৃষ্টি । এখন একটু রৌদ্র উঠেচে-গাড়ীর মধ্যে . বসে বসে লিখচি-কিন্তু মেঘের ঘোর এখনও কাটেনি। পরশু বৈকালটী সজনীবাবু, সুবলবাবু ও গোপালবাবুর সঙ্গে বেশ কেটেচে। প্রথমে রেষ্ট রেন্টে কিছু খেয়ে মোটরে করে গেলাম লেকে—সেখান থেকে আউট্রাম ঘাট-সেখানে চা-পানের পর বাস । ডাঃ সুশীল দে’র ওখানেও ঘণ্টা তিন চার গল্প করে ভারী আনন্দ হোল । কারাগী রোডে পৌছে দেখলাম কিছুই আসেনি, অতি বর্ষণের ফলে বন্যা হওয়াতে রাস্তা ভেঙে গিয়েচে-গন্তব্য স্থানে পৌছতে দুই তিন দিন লাগবেআরও একটী সাহেব আমারই মত বিপন্ন হয়ে পড়েচেন-সুতরাং প্ৰত্যাবৰ্ত্তনই যুক্তিযুক্ত মনে হোল। একজন বাঙ্গালী ওভারসিয়ার ছিলেন, তার নাম সত্যরঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য-তিনি সঙ্গে করে তার বাসায় নিয়ে গেলেন-বেশ 6नोंद 1-दिन 8 CD उन डास्त्रों, उठाब्ल ७ डांड । ۔ ওধারকার রাঙা মাটীর দেওয়াল, বেশ দেখতে। মনে হোল ওরকম বাড়ীতে আমি তো একেবারেই টিকতে পারবে না। সঙ্গে করে দেখালেন, পাশেই জমি কিনে চেন-সেখানে তারকারীর বাগান। একটী গালার কারখানায় নিয়ে গেলেন-গালা চোলাই হচ্চে-একটা অপ্রীতিকর গন্ধ । সেখান থেকে এসে খাওয়া দাওয়ার পরে সামনের পাহাড়টাতে ওঠা গেল। ওপারে। আর একটা পাহাড়-মধ্যে ঘন শাল পলাশের বন-মহিষের গলায় একটানা ঘণ্টার ধ্বনি শোনা যাচ্চে। ওখানকার একজন খৃষ্টান ডাক্তার জানপান্নার বিবাহ গেল সেদিন, বিবাহ উপলক্ষে অনেকগুলি সাহেব মেম ও বাঙ্গালী খৃষ্টান মেয়ে এসেছিলেন-এই ট্রেনে যাচ্ছেন। বিলাসপুরে গাড়ী পেয়ে গেলাম ঠিক মত-ভিড় খুব বেশী ছিল না। বিলাসপুরের ও রায়গড়ের মধ্যেকার আরণ্য ভূভাগের দৃশ্য অতি অপূর্ব-কিন্তু দুঃখের বিষয় সন্ধ্যার অন্ধকার চারিদিকে নামবার পরেই অধিকতর অপরূপ এমন আর এক বনভূমির ভিতর দিয়ে ট্ৰেণ যেতে লাগল, যার তুলনায় পূর্বে যতগুলো দেখেচি সব ছোট হয়ে গেল, তুচ্ছ হয়ে গেল-সেটা হচ্চে রায়গড় ও ঝারসাগুদার মধ্যে-সে। অপরূপ আরণ্যভূমির বর্ণনা চলে না। দিবাশেষের ঘন ছায়ায় অনতিস্পষ্ট সে দৃশ্যের মত গভীর অন্য কোনো দৃশ্য জীবনে দেখিনি কখনও-চন্দ্ৰনাথের পাহাড়ও নয়। কি প্ৰকাণ্ড পাহাড়টাই বরাবর সঙ্গে সঙ্গে একেবারে চক্ৰধরপুৱা পৰ্য্যন্ত এল ! - মাঝে মাঝে সাদা মেঘগুলো পাহাড়ের