8tr छ्त्रांडूद्ध সজনীবাবু গিয়ে গাড়ী করে সুনীতি বাবুকে উঠিয়ে নিয়ে এল-পরে আমরা রওনা হলাম আমাদের গ্রামে। সজনীবাবু, অশোকবাবু, সুনীতিবাবু, আর আমি । যশোর রোডে এসে ব্যাটারির তারটা হঠাৎ জলে উঠে একটা অগ্নিকাণ্ড হোত কিন্তু সুনীতিবাবুর কুজোর জল দিয়ে সেটাকে থামানো গেল । তারপরই খুব জোরে মোটর ছুটুিল-পথে মাঝে মাঝে রোদ, মাঝে মাঝে ছায়া-রোদই বেশি, আজ রবিবার, সাহেবের কলকাতা থেকে বেড়াতে বেরিয়ে এক এক গাছতলায় মোটর রেখে ছায়ায় শুয়ে আছে। তারপর পৌছে গেলাম জোড়া-বটতলায়। ওখানেই মোটরখানা রৈল, কারণ দিনকয়েক আগে আমাদের গ্রামের দিকে খুব বৃষ্টি হয়েছিল, পথে এখনও একটু একটু কাদা। নেমে কঁচাপথাটা বেয়ে বরাবর চলুম, সুনীতিবাবু কাচা কোসো কুল ও সেয়াকুল খেতে খেতে চল্লেন, অশোকবাবু ছড়ি কাটুবার কথা বলতেই সজনীবাবু চটি ফেলে ছুটুল গাড়ীতে ছুৱী আনতে। গ্রামে ঢুকবার আগে এ ফুলের ও ফুলের নাম সবে বলে দিলাম-কঁঠালতলায় হেলা গুড়িতে গিয়ে সবাই বসল। তারপরে সাইমার বাড়ী গিয়ে কিছু মুড়ির ব্যবস্থা করে একটা আসন পেতে সবাইকে বসালাম । সেখানে খাওয়া ও গল্পগুজবের পরে আমাদের পোড়ো ভিটেটা দেখে রান্নাঘরের পোতা দিয়ে সবাই নেমে ঘন ছায়ায় ছায়ায় এলাম সলতেখালি আমগাছের তলায়-সেই ময়না-কঁাটা গাছ থেকে ছড়ি কেটে নিলে অশোকবাবু ও সজনীবাবু-পরে তেঁতুলতলীর তলার বনের মধ্যে দেখা গেল একটা খুব বড় ও ভাল ময়না-কঁটা গাছ-সেখান থেকে আর একটা ছড়ি কাটা হোল । তারপর প্রায় বেলা গেল দেখে আমি খুব তাড়াতাড়ি করলাম-ওদের বন থেকে টেনে বার করে নিয়ে গেলুম কুঠাঁটায়। ছেলেবেলায় গ্রামের জামাইদের ডেকে নিয়ে কুঠী দেখাতুম। তারপর সে কাজটা অনেকদিন বন্ধ ছিল— বহুকাল বন্ধ ছিল। শেষে কাকে নিয়ে গিয়েছিলাম, তা তো মনে হয় না-বহুকাল পরে বল্যের সে কুঠা দেখানো পুনরাবৃত্তিটা কলুম। তখন কুঠাঁটা আমার কাছে খুব গর্ব ও বিস্ময়ের বস্তু ছিল—তাই যে কেউ নতুন লোক আসতো, তাকেই নিয়ে ছুটুিতাম কুঠা দেখাতে। আজ বহুদিন পরে সজনীবাবু, সুনীতিবাবু ও অশোক বাবুকে নিয়ে গেলাম। সেখানে। কুঠতে কিছু নেই। আজকাল এত জঙ্গল হয়ে পড়েচে যে আমি নিজেই প্রথমটা ঠিক কৰ্ত্তে পালুম না কুঠােটা ८कॉन् खांश्चांश्च ।
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪
অবয়ব