পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর Ο Σ আমার এই ভাব-জীবনের বোধহয় আরম্ভ। তারও আগে মনে আছে-মা যেদিন অতি শৈশবে ছোলা ও মুড়ি খেতে দিয়ে দিদিমার কাছে তিরস্কৃত BDDBBDYSYD BBDB BBBBDS DDD D DDDDDDB DYSLOYB BDBDB মাছের ঝোল ও রুটী তুলে রেখে দিয়েছিলেন, মা তার খবর না জেনেই আমায় দিয়েছিলেন মুড়ি ও ছোলা ভাজা -সেই ঘটনা থেকে মায়ের উপর এক অদ্ভুত স্নেহ ও বেদনা-বোধ-তার পরে জাহ্নবীর আমজরানো, পিসিমার শত দুঃখ, কামিনী-পিসির কষ্ট, সেই যাত্রার দলের গান শেষ হওয়ার দিনগুলা-কত কি-কত কি ; তার পরে বিভূতির কত কষ্ট । আজ আবার দেবব্রতের কষ্ট-আমার সমগ্ৰ ভাব-জীবনের সমষ্টি এই সব দুঃখ ও বেদনা, অবশ্য হয় তো অনেক দুঃখ বাস্তব, অনেকটা কাল্পনিক-কিন্তু আমার মনে তাদের জন্য বেদনানুভূতি আদৌ কাল্পনিক নয়-তাদের সার্থকতা সেইখানেই । যাক। তারপর স্কুলে এক অদ্ভুত ব্যাপার হােল। সন্ধ্যা হয়ে গেল, আমি ছাদে। নীরব সান্ধ্য আকাশের তলে প্ৰতিদিনের মত পায়চারী কৰ্ত্তে লাগলাম--মনে এক অতীন্দ্ৰিয় আনন্দবোধ, সে আনন্দের তুলনা হয় নাভেবে দেখলাম। এই আনন্দেই জীবনের সার্থকতা। কিসে থেকে তা আসে, সে কথা বিচারে কোনো সার্থকতা নেই আদেী-আনন্দ যে এসেচে, সেইটাই বড় কথা ও পরম সত্য। অনেক দিন পরে এ লেখা পড়ে আমারই মনের নিরানন্দ ও ভাবশূন্য মুহুর্তে আমার মনে হতে পারে যে, এ দিনের আনন্দ একেবারেই অবাস্তব ও মনকে চোখ-ঠাৱা গোছের হয় তো-নিরানন্দের দিনে এ কথা মনে হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বটে, কিন্তু এই খাতায় কালীর আঁচড়ে তা জানিয়ে দিতে চাই যে তা নয়, তা নয়। এ আনন্দ অপূর্ব অননুভূত, অতীন্দ্ৰিয়, মহনীয় ! - এ ধরণের গভীর বেদনামিশ্রিত ভাবোপলব্ধি জীবনে খুব কম করেচি। করেচি হয় তো সে দিন মালিপাড়ায় মাজু খাতুনের উপর পুলিশের অত্যাচার করার কথাটা খবরের কাগজে পড়বার দিনটাতারপর অনেক দিন হয়নি । সন্ধ্যার নিস্তব্ধ ও ধূসর আকাশের বহুদূর প্রান্তের আমাদের ভিটাটার কথা মনে হোল একবার-বেশ দেখতে পেলাম সেখানে ঘন ছায়া পড়ে এসেচে-বনে সুগন্ধ উঠচে হেমন্তের দিনে-সেই ভিটা থেকে একদিন পথে, ঘাটে, বৈকালের ছায়ায়, দুপুরের রোদে যে আনন্দ-জীবনের শুরু, আমি এই