পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর QS) আশ্চৰ্য্যের বিষয় আজ পয়লা অগ্রহায়ণ, কিন্তু এত গরম যে সকালে কাৰ্ত্তিক পূজার ছুটীর দিনটা বলে রমাপ্ৰসন্নর ওখানে বেড়াতে গেলাম। সেখানে সুরেশ বাবুর আগ্ৰা ভ্রমণের গল্প শুনে ফিরে এসে, বেলা আটার সময় এত গরম বোধ কৰ্ত্তে লাগিলাম যে তাড়াতাড়ি নাইতে গেলাম—এবং মনে খুব আনন্দ হোল, আরাম পেলুম-বালতির পর বালতি ঠাণ্ডা জল মাথায় দিতে লাগলাম५qड १iब्रभ ! এ সময়ে এত গরম আর কখনো কলকাতায় দেখেচি বলে তো মনে ३२ग्न ●भ] । অনেক দিন লিখিনি-বাজে জিনিষ না লেখাই ভালো, অন্ততঃ এ খাতায় । আজি দুপুরটাতে কৃষ্ণধন বাবুর সঙ্গে বেরিয়েছিলাম, কবিশেখর কালিদাস রায় ও দক্ষিণাবাবুর বাড়ী-সেখান থেকে এসে বারান্দাতে বসে ছিলাম, হঠাৎ মনে Çzrat qks (tit ft. Siç&ct first Wide World Magazine Cicat vitfi শাঁখারীটোলায় ভীমেদের বাড়ীতে গেলাম, ওরা আজ নতুন খাতা কৰ্ত্তে বেরিয়েচে । মোড়ের মাথায় টাটি একটা মুদীর দোকানে দাঁড়িয়ে হাল খাতা করচে-তাকে ডেকে আদর করে ভারী আনন্দ পেলাম--তারপর নিউ মার্কেট ঘুরে এই মাত্র ফিরে আসচি। বেজায় গরম পড়েচে আজ কলকাতায়। জীবনের সৌন্দৰ্য্যের কথাই শুধু আজি ক'দিন ধরে ভাবচি। কি জানি কেন শুধুই মনে পড়চে ছেলেবেলায় যে টক এচিড়ের চচ্চড়ী ও টক কলায়ের ডাল দিয়ে ভাত খেতুম, রান্নাঘরের দাওয়ায় বসে—সেই কথা। সেই মুচুকুন্দ চাপার গন্ধের কথা । জীবনটার কথা ভাবলেই আনন্দে মুগ্ধ হতে হয়। এত বিচিত্র অনুভূতি, এত পরিবর্তন, এত রস, এত যাওয়া-আসা-ভেবে অবাক হয়ে शाझे । সঙ্গে সঙ্গে এই মাত্র ক্যাম্বেল স্কুলটার সামনে যেতে যেতে মনে হোল, মানুষ অনন্তের সন্তান-একথা মিথ্যা নয়, কে বলে মিথ্যা ! --সামগ্ৰ নক্ষত্র জগতের জীবন-জরাহীন, মৃত্যুহীন, অপরাজেয় জীবন-ধারা তার নিজস্ব। সকল নক্ষত্রের পাশের দেশে-ওই যে নক্ষত্রটা আমার বারান্দার ওপর মিটি মিটি জলচে-ওদের চারি পাশে আমাদের মত গ্ৰহরাজি আছে হয় তোতাতেও জীব আছে, অন্য বিবৰ্ত্তনের প্রাণী হোলেও তাদেরও সুখ দুঃখ, শিল্প, অনুভূতি, মৃত্যু, প্ৰেম সবই আছে-দূরের নীহারিকা, Globular Cluster-দের