পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qや তৃণান্ধুর হয়-আর লিখেচেন, “শিল্পীর সৃষ্ট গ্রামখানি শাশ্বতকালের, জানিনা ভৌগোলিক গ্রামখানা কি রকম দেখবো।” ছ’টার সময় নীরদবাবুৱা গাড়ী করে ফিরলুম—কারণ রবিবাসর ছিল প্রেমোৎপলবাবুর বাড়ীতে। আজ খুব মেঘ করেচে, দমদম থেকে আসতে মেঘান্ধকার পূব-আকাশের দিকে চেয়ে আমার পুরাণে ভিটা ও বাশবনের কথা, মায়ের কড়াখানার কথা ভাবছিলুম-কি অদ্ভূত প্রেরণাই দিয়েচে এরা জীবনে—সত্যি!-নীরদবাবুও গাড়ীতে বল্লেন, কড়াখানার দৃশ্য তাকে সেদিন একটা অদ্ভুত উত্তেজনা ও অনুভূতি এনে দিয়েছিল মনে—গত রবিবারে সেদিন যখন ওঁরা ওখানে গিয়েছিলেন। তারপর এলুম। রবিবাসরে, ওখানে তখন প্ৰবন্ধ পাঠ শেষ হয়ে গিয়েচে-তরমুজের আইস-ক্রিম ও খাবার খুব খাওয়া গেল। অতুল বাবুর কাছে arts Spiritual Circle.43 frict নিলুম। নীরদ আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমহাষ্ট ষ্ট্রীটের মোড় পৰ্য্যন্ত এলঅশোকবাবু ও সজনীবাবুদের সম্বন্ধে নানা কথা । সুধাংশুবাবুর সঙ্গে দেখা হোল, তিনি যাচ্চেন সুবোধবাবুর পিতৃ-শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণে। বাড়ী চলে এলুম। আজ ভাবচি, গ্রাম সম্বন্ধে একটা সত্যকার ভালবাসা ও টান ছিল শৈশব থেকে আমার মনে । কি চোখেই দেখেছিলুম বারাকপুরটাকে-যখন প্রথম মামার বাড়ী থেকে অনেককাল পরে দেশে ফিরি, পিসিমা ওইদিকের বঁাশবাগান দিয়ে আসেন । কাল তাই যখন শাখারীটোলার দখল-করা বাড়ীটার সামনে পুরোণে জমিদারী কাগজের মধ্যে ১৩১০ সালের একখানা পুরাণে চিঠি কুড়িয়ে পেলাম, তখনি মনে হোল,—আচ্ছা এমনি দিনে দশ বৎসরের ক্ষুদ্র বালক আমি কি করছিলাম ! মনে একটা thrill হল, একটু নৌশামত যেন !-কোনো সত্যিকার জিনিস মিথ্যে হয় না-সেই বেচু চাটুয্যের ষ্ট্রীটের মধ্যে দিয়া আজ দুপুরে নীরদবাবুর গাড়ী করে গেলাম, যে বেচু চাটুয্যের ষ্ট্রীটের বাড়ীতে একদিন কত কষ্টে কালব্যাপন করেচি ! - ওখানেই কষ্ট পেয়েচি, ওখানেই ভগবান সুখ দিলেন। সত্যিকার অনুভূতি অমর, তা বৃথা যায় নাআমার শৈশব-মনের সে জীবন্ত, প্ৰাণবান ভালবাসা,-গ্রামের প্রতিটি বাঁশেরখোলা ও গাবগাছটাকে অতি নিকট আপনার জন বলে ভাববার অনুভূতি ছিল সত্যকার জিনিস-তাই আজ বহু সমঝদার মনে, সে অনুভূতিটুকু সঞ্চার কৰ্ত্তে কৃতকাৰ্য্য হয়েচি । সাহিত্য-সৃষ্টি মেকী জিনিস নয়, তার পিছনে যখন BBDBD DBEEB BD DBS BDBB DB BDD DB D DD DDBDB DDD