তৃণাকুর VS) শ্যামাপ্রসাদ বাবুর কাছে ভবানীপুরে। শ্যামাপ্রসাদ বাবুর সঙ্গে দেখা করেই মুরলীবাবুর বাড়ী । তার পরে অনেক রাত্রে ট্রামে বাসা। পরদিন ছুটীর পরে সুনীতিবাবুর সঙ্গে engagement. সকালে সজনীর ওখানে গেলাম। লুচি ও চা সজনীর স্ত্রী যত্ন করে খাওয়ালেন। সেখান থেকে দুজনে শনিবারের চিঠির আফিস-আমি খানিকক্ষণ প্ৰকৃফ দেখে স্কুলে এলাম ও ছুটীর পরে ইউনিভাসিটীতে গেলাম। প্ৰথমে এসিষ্ট্যাণ্ট কণ্টেলারের আফিসে কেউ নেই-পরে দেখি সাহেব রেজিষ্ট্রারের ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছে। আমিও দাড়িয়ে অপেক্ষা কলুম, একটু পরেই সাহেব বেরিয়ে এল। অনেকক্ষণ দুজনে গল্প করা গেল। তার পর হেড়ম্ববাবু, ওয়ার্ডস ওয়ার্থ সাহেব, মিঃ বটসলি, একে একে সবাই এলেন । পাচটার পরে আমি ওখান থেকে ফিরে সোজা শনিবারের চিঠির আফিসে। গোপাল হালদারের সঙ্গে Spiritualism নিয়ে সেখানে ঘোর তর্ক। সুনীতিবাবু এলেন- গল্পগুজবের পরে আমি, সুনীতিবাবু ও প্রমথবাবু তিনজনে গল্প কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে বেরুনো গেল। সুনীতিবাবু “পথের পাচালী” ইংরাজিতে অনুবাদ করবেন এমন ইচ্ছা প্ৰকাশ কল্লেন । প্রমথবাবু ইটালিয়ানের প্রোফেসর ইউনিভাসিটীতে, তিনি আমার সঙ্গে আমার বাড়ী এলেন । আমার বইখানা ইটালিয়ানে অনুবাদ সম্বন্ধে অনেক কথা হোল । ইটালিতে আমায় পাঠানো সম্বন্ধে বল্লেন । তিনজন ভদ্রলোক এসে দেখি বাসায় বসে আছেন—তঁরা কালকের একটা পাটিতে নিমন্ত্রণ কৰ্ত্তে এসেচেন । সকালে উঠে স্কুলে গেলাম ও শনিবার সকালে ছুটীর পরেই বাসায় এলাম। অনেকক্ষণ। ঘুমুবার চেষ্টা করা গেল। আন্দাজ চারটার সময় উঠে হ্যারিসন রোড দিয়ে যাচ্ছি।-শীতল পেছন থেকে ডাকলে ও একখানা পত্র দিলে । একটা সভা আছে ওদের বাড়ী-আমি সভাপতি । প্ৰথমে গেলাম হেঁটে শনিবারের চিঠির আপিসো-সেখানে Copy দিয়ে সোজা হাঁটুতে হাটুতে ( খুকীকে যে পথ দিয়ে হঁটিয়ে নিয়ে গেছলাম। সেই পথটা ধরে) বিডন স্কোয়ার। সেখানে একটা বেঞ্চির উপর বসে কত কথা ভাবলাম। মায়ের পোতা সেই সজনে গাছটার কথা এত যে মনে হয় কেন ? মনে হোল, যে জীবনটায় আর কখনো ফিরবো না-যা শেষ হয়ে
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯
অবয়ব