পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৪

তৃণার

গিয়েচে ওই সজ নে গাছটা এখনও কার ফিরবার আসায় সেই দিনগুলির মত পাতা ছাড়চে, ফুল ফোটাচেচ্চ– ৬ টা ফলাড়ে—কে এসে ভোগ করবে ? সন্ধ্যার ধূসর, আকাশ’ চারটা তার—‘জনতার মাঝে জনগণ পতি’ গানটাও আবার মনে এল-—আকাশের তারাদের দিকে চাইলেই ওই অপূর্ব ভাবটা হয়।

তারপর উঠে ওদের বাড়ী গেলাম । মন্মথদের বাড়ী সভা হোল । আমায় কমে সেক্রেটারী। সভা ভঙ্গের পরে বিভূতি গলা জড়িয়ে ধরে বল্লে, এখানে রাত্রে খেয়ে যাবেন । তারপরে লাল ঘরে অনেকক্ষণ আাডড়া হোল । পড়বার ঘরে তারপরে বিভূতি কাছে বসে থাওয়ালে । পুরোণো দিনের গল্প হোল, সব চেয়ে কথা উঠল—‘পুত্তলিকা’ ‘পুত্তলিক’ সে কথা হোল { তারপর রিক্সা করে মাঘী পূর্ণিমার জ্যোৎস্না-রাত্রে পুরানো দিনের মত বাসায় ফিরলাম—সেই প্রতাপ ঘোষের বাড়ীর সামনে দিয়ে, খানাটার পাশ দিয়ে। একটা কথা লিখতে ভুলে গিয়েচি, আজ বিকালে প্রবাসী আপিসে ও Sir P. C. Bay-এর সঙ্গেও দেখা করেছিলাম।

রবিবারে প্রসাদ এল । বেশ মাথায় বড় হয়েচে—সেই ছোট্ট প্ৰসাদ আর নেই । তাকে দেখে এমন মেহ একট। হোল ! আমার নাম উঠলেই এখনও সকলে কাদে~চাপাপুকুরের বড় মাসীমা কাদেন, এই সব কথাও বল্লে । একটা চাকুরীর কথা বল্লে । তার পর আমার নাম এখন প্রায়ই সকলে করেন সে । কথাও বলে । । তার পর সে চলে গেল।

আমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েচি নীরদবাবু এসে ডার্কচেন। দুজনে দক্ষমা গেলাম—সুনীলবাবু শাস্তিকে পড়াচ্ছিলেন—দুজনেই বাইরে এলেন। গল্পগুজব হোল— -মাঠে বসে চ চা খাওয়া গেল। আমরা পাচটার সময়ে বেরিয়ে শরদিন্দু বাৰু ও করুণা বাবুর পার্টিতে এলাম। নরেন দেব, অচিন্ত্যপ্রবোধ সামাল, রমেশ বস্তুসবই এল। খুব খাওয়া দাওয়া হোল। প্রচুর খাওয়া ! নরেন । দেব সন্দেশ খেতে খেতে মুখ লাল করে ফেলে অবশেষে যখন আরও থেতে অমুরুদ্ধ হলেন– -মরিয়া হয়ে বল্লেন সনেন্দশটা ভালো নয় । আমরা বেরিয়ে । শেয়ালদা ষ্টেশনে এসে স্বশীল বাবুকে তুলে দিয়ে নীরদ বাবুর গাড়ীতে নিউ মার্কেটে গেলাম। কথা রৈল বৃহস্পতিবারে ‘অপরাজিত' পড়া হবে দমদমার বাগান বাড়ীতে। wide world কিনে রাতে বাসায় ফিরলাম।