পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর \ স্কুলের ছেলেদের সঙ্গে দেখা হোল-সামীর বল্পে ভালো লিখেচে । শৈলেন বাবুর সঙ্গেও দেখা হোল । তারপর এক কাপ চ খেয়ে আবার গোলাম সজনী দাসের ওখানে। প্ৰথমবাবু ও সজনী বসে। শেষ ফৰ্ম্মাটা প্রেসে ছাপতে দিয়েচি। তারপরে কি করে ‘পরের পাচালী” প্ৰথম মাথায় এল, সে গল্প করলাম । আজ তাই মনে হচ্চে, সত্যই স্মরণীয় দিনটা । ১৯২৪ সালের পূজার সময়টা থেকে এপৰ্য্যন্ত প্ৰায় সব সময়ই এই বই-এর কথাই ভেবেছি। ১৯২৬, সাল থেকে শুরু করে ১৯৩২ এর ১০ই মার্চ পৰ্য্যন্ত এমন একটা দিনও যায়নি, যখন আমি এ বইখানির কথা না ভেবেচি-বিভিন্ন চরিত্র, বিভিন্ন ঘটনা, বিভিন্ন মনোভাব নোটু করেচি, মনে রেখেচি-কত কি করেচি । ইসমাইল।পুরের জঙ্গলে এমন কত শীতের গভীর অন্ধকার রাত্রি, ভাগলপুরের বড় বাসায় এমন কত আমের বউলের গন্ধ-ভরা ফাগুন দুপুর, কত চৈত্র বৈশাখের নিমফুলের গন্ধ-মেশানো অলস অপরাহ, বড়বাসার ছাদে কত পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাত্রি অপু, দুৰ্গা, পটু, সৰ্ব্বজয়া হরিহর, রাণুদি এদের চিন্তায় কাটিয়েচি। এরা সকলেই কল্পনাসৃষ্ট প্ৰাণী । অনেকে ভাবেন আমার জীবনের সঙ্গে বুঝি বই দু’খানির খুব যোগ আছে -চরিত্রগুলি বোধ হয় জীবন থেকে নেওয়া । অবশ্য কতকটা যে আমার জীবনের সংযোগ আছে ঘটনাগুলির সঙ্গে, এবিষয়ে ভুল নেই-কিন্তু সে যোগ খুব ঘনিষ্ঠ নয়— ভাসা ভাসা ধরণের। চরিত্রগুলি সবই কাল্পনিক । সর্ববজয়ার একটা অস্পষ্ট ভিত্তি আছে--আমার মা । কিন্তু যারা আমার মাকে জানে, তারাই জানে সর্বজয়ার সবখানি আমার মা নন । আজ রাত অনেক । এদের সকলের উদ্দেশ্যে বইখানি উৎসৃষ্টি করলাম । যদি সাহিত্যের বাজারে আন্তরিকতার কোনো মূল্য থাকে, তবে আমার ইসমাইল।পুরে, ভাগলপুরে বড়বাসার ছাদে আমার বহু বিনিদ্র রজনী-যাপনের ইতিহাস একথার সাক্ষ্য দেবে যে, বই দুখানি লিখতে আন্তরিকতার অভাব BDDBBB TBD D DD TBuDB BDDDuD D BBu S আজি সত্যিই কষ্ট হচ্চে। অপু, কাজল, দুৰ্গা লীলা-এর এই সুদীর্ঘ পাচ বৎসরে আমার আপনার লোক হয়ে পড়েছিল। আজ ওবেলাও প্রািফ দেখোঁচি, অদলবদল করেচি-কিন্তু এবেলা থেকে তাদের সকলকেই সত্যসত্যই বিদায় দিলাম। আজ রাত্ৰে যে কতখানি নিঃসঙ্গ ও একাকী বোধ