छ्लांडूज्ञ Vd ওবেলা-তাকে বললাম তুই আমার ছেলে তো ? সে বল্পে একটু সলজ হেসে-ই। ও কখনো একথা বলেনি। এর আগে । তাই আজি আনন্দে মনটা পূৰ্ণ আছে। সারাদিন । আজ রাত্রে “অপরাজিত’ বইএর দ্বিতীয় খণ্ডটা সজনীর কাছ থেকে আনলাম। আজ সকালেই বই বার হয়েছে। অনেক রাত পৰ্য্যন্ত বসে থেকে চ খেয়ে ও গল্প গুজব করে চলে এলাম । দ্বিজরাজ জানা মারা গিয়েচে বলে সকালে ছুটী হোল। বেরিয়ে আমি যতীনবাবু ও ক্ষেত্রবাবু ওয়াছেল মোল্লার দোকানে ও নিউ মার্কেটে বেড়ালাম । সেখান থেকে ইউনিভার্সিটিতে গেলাম কাগজের খোজে । কাগজ পেলাম না। বীরেনবাবুও ছিল। বেরিয়ে বাসায় এসে একটু ঘুমুনো গেল। এখন রাত । সি দুরে মেঘ হয়েচে । মনটা কেমন একটা বিষাদে পরিপূর্ণ-মনটা শূন্য হয়ে গিয়েচে-অপু, দুর্গা, সৰ্ব্বজয়া, কাজল, লীলা, পটু, বিলি--এর সব আজ মনের বাইরে চলে গিয়েচে কতকালের সহচর সহচরী সাব-সেই ইসমাইল।পুরে এমন সব চৈত্র অপরাহুে Wide World পড়া দিনগুলো থেকে ওরা আমার মনের মধ্যে ছিল-কাল একেবারে চলে গিয়েচে । ওদের বিরহ অতি দুঃসহ হয়ে উঠচে। এর আগে ক’দিন মনটা ছিল নিরানন্দ। কেবল গৌরীপুরের মাঠে যেদিন Picnic কৰ্ত্তে যাই আমরা-সেদিনটাতে আনন্দ পেয়েছিলাম । সেই আধ-জ্যোৎস্না আধ-আঁধার রাত্রে তালবনের ধারে পুকুরপাড়ে বসে কত কি গল্প-কতকাল ওসব কথা মনে থাকবে । কাল রাত্রে সাহিত্য-সেবক-সমিতিতে সভাপতি ছিলাম। অচিন্ত্য একটা গল্প পড়লে— গল্পটা মন্দ হয়নি। সেখান থেকে বেরিয়ে অনাথভাণ্ডারের থিয়েটার দেখতে যাবো কথা ছিল, কিন্তু অবনীবাবু, সুকুমার ও শৈলেন বাবুর সঙ্গে জমে গিয়ে রাত এগারোটা পৰ্য্যন্ত হৃষিকেশ লাহাঁদের বাড়ীর সামনের পার্কটাতে আডা দিলাম। সেখান থেকে বার হয়ে বাসায় ফিরলাম। অনেক রাতে ।
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫
অবয়ব