পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর ዓ¢ নিরাশ্রয়তার মধ্যে চলে আসতুম। খুব কষ্ট হ’ত । এবারে কিন্তু কত দিন পৰ্য্যন্ত আমি রইলাম! কি সুন্দর বর্ষাদৃশ্য এবার দেখলাম ইছামতীর চরে, ইছামতীর কালো জলের ওপরে । কি বড় বড় মেঘের ছায়া ! • • ঘাটের পথে খেজুর গাছটায় খেজুর এখনও বোধ হয় খুজলে দু’একটা পাওয়া যাবে। ওদের নিয়ে রোজ পাঠশালা *6-, 33 sentence লিখতো, জগা ছড়া বলতে :- এতল বেঁতাল তামার তেতািল ধৰ্ত্তো বেঁতাল ধরে নাকি মানে এর, ওই জানে—অথচ কি উৎসাহেই আবৃত্তি কৰ্ত্তেী !-শিবুং ও সুরো ধনুক-বাণ নিয়ে যাত্ৰা কৰ্ত্তে আসতো, খুকু কত রাত পৰ্য্যন্ত বসে আমার কাছে গল্প শুনতে,-জ্যোৎস্না উঠে যেতো। তবুও সে বাড়ী যেতে চাইতো না। এক একদিন আবার দুপুরে এসে বলতো, গল্প বলুন। আসবার দিন বকুলতলায় বসে ওকে খাত। বেঁধে দিলাম, sentenuce কৰ্ত্তে দিয়ে বলে এলাম এসে আবার দেখবো। “মায়ের ভাঙা কড়াখানা উল্টে পড়ে গিয়েচে, ভিটেটাতে বড় বেশী জঙ্গল হয়েচে”—অপু, যেমন বইতে লিখেচে । কুঠার মাঠে গিয়ে এক একদিন গামছ। পেতে শুয়ে থাকতুম খুব হাওয়া, বড় চমৎকার লাগতো। কিন্তু যখন ইছামতীর জলে নাইতে নামতুম সকালে ও বিকেলে—সেই সময়ই সকলের চেয়ে লাগতো ভালো। ও-পাড়ার ঘাটের সামনে সবুজ ঢালু ঘাস-ভরা মাঠ ও আঁকাবঁকা শিমূল গাছটা যে কি অপূৰ্ব সৌন্দৰ্য্য ফুটিয়ে তুলতে চােখের সম্মুখে তা কাকে বলি, কে-ই বা বুঝবে ? যখন আসি তখনও বৌ-কথা-ক ছিল, তখনও পাপিয়া, কোকিল ডাকতো, অথচ তখন তো আষাঢ় মাস পড়েই গিয়েছিল। BDBB DgSDBDD gSDD DD BB BBBDD DBBBD DBB BBBDBDDYYSJDBD DDB না, অন্যবার এত নিমন্ত্রণ তো করে না । দেবব্রতকে কত কাল দেখিনি—তার মুখ ভুলেই গিয়েচি—এতকাল পরে এইবার দেখবো । সে দিন বনগায়ে গেছলাম।-- সকালে খুকীর সঙ্গে পাকা রাস্তার সাকোয় কত খেলা কলুম। খুকী কত ফল তুললে, পাতা তুললে, আমিও কত ফল পেড়ে নিয়ে এসেছিলাম ; খুকী রাধালে। খুকীর সঙ্গে ছেলেমানুষী খেলা