এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
or o তৃণাঞ্চুর
- বেলা পড়ে এসেচে। রাঙা রোদ দূরের পাহাড়ের মাথায়, শালবনে, রাঙামাটিীর টিলার গায়ে । চারিধার কত নিঃশব্দ-আকাশ কেমন নীলঅনেকদিন এমন মনের আনন্দ পাইনি—কলকাতার মুমূর্ষু নিস্তেজ মন কাল সারা রাত ও আজ সারাদিনের মাঝে বন্য-সৌন্দৰ্য্য দেখে, প্ৰথম বসন্তে ফুটন্ত পলাশ বনের ও ধাতুক ফুলের প্রাণবন্ত রূপ দেখে—ইবা ষ্টেশনের অরণ্য-নদী-পৰ্বত সমাচ্ছন্ন বিরাট পটভূমির দৃশ্যে একমুহুর্তে তাজা হয়ে উঠল—কি ঘন শাল পলাশের বন-কি সুন্দর জনহীন প্রান্তর, দূরে দূরে নিৰ্জন পর্বতমালা-মন অভিভূত হয়ে পড়ে। কিন্তু হৃদয়ের অভ্যন্তরে মাথা সতেজ হয়ে ওঠে। রোদ কি অপূর্ব রাঙা হয়ে এসেচে—ষ্টেশনের পাশের পথটা দিয়ে সোমড়ার হাট থেকে সাওতালী মেয়ের হাট করে ঝুডি মাথায় নিয়ে যাচ্চে। হাটটায় এইমাত্র আমি, প্ৰমোদবাবু ও কিরণবাবু বেড়াতে গিয়েছিলাম—বেগুন, রেড়ির বীজ, কচি ইচড়, চিংড়ি, কুমড়া, খই, মুড়ি বিক্রি করচে। এক জায়গায় একটী সাওতালী যুবতী ধান দিয়ে মুড়কি নিচ্চে। এই হাটের সামনে একটা প্ৰাকৃতিক জলাশয়ে আমরা স্নান কলুম। ভারী আনন্দ পেয়েচি আজি-ভাগলপুর ছেড়ে আসবার পুরে এত আনন্দ সত্যই অনেককাল পাইনি।
রোদের রাঙা রং অতি অপূর্ব ! ডাকবাংলা থেকে লোক জিজ্ঞেস কৰ্ত্তে এসেচে আমরা রাত্রে কি খাবো । ণ”। সকালে আমরা রওনা হলাম। পথে কি সুন্দর একটা পাহাড়ী ঝরণা । সির সির করে পাহাড়ী নদী বয়ে চলেচে। কতকগুলি লোক একটা কাঠের পুলের ওপর খড় বিছিয়ে দিচ্চে। তারা বলে পাটোয়ারীর ছেলে এপথে চলে গিয়েচে । পাহাড়ী করবীর দল জলের ধারে ফুটে রয়েচে । শান্ত শাল পলাশের বনের ছায়া। এখানে সবাই উডিয়া বুলি বলচে । ७शन डांब्ली लां८१ ! নীল আকাশের তলে অফুরন্ত বঁাশের জঙ্গল। শাল পলাশের বন রোদ ক্রমে হলদে হয়ে আসচে। ত্ৰিত্তোলা থেকে গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে ৭/৮ মাইল পথ হেঁটে দুপুরে বিক্রমখোলে পৌঁছলাম। বিক্রমখোলের
- সম্বলপুর + दिश cथळांव्र °tथं