তৃণান্ধুর দেখলাম-আৰ্য্যাবৰ্ত্তের সমতলভূমি বাদে ভারতের সবটাই এই ধরণের ভূমি। B. N. R.-ই দেখো না কেন-সেই খড়গপুর থেকে আরম্ভ হয়েচে রাঙামাটি, পাহাড় ও শালবন-আর বরাবর চলেচে এই চারশ’ মাইল-এর পরও চলেচে আরও চারশ’ মাইল-চারশ’ মাইল কেন, আরও আটশ' মাইল বম্বে পৰ্য্যন্ত। অরণ্যের দৃশ্য সেখানে যেতে আরও গভীর-সহাদ্রির মহিমময় ঘাটিশ্রেণীর অপরূপ দৃশ্যের তুলনা কোথায় ? ওদিকে মহীশূর, নীলগিরিমালাবার উপকূলের ট্রপিক্যাল ফরেষ্ট-আৰ্য্যাবৰ্ত্তের সমতলভূমি পার হয়েই অতুলনীয় fèr fari RI, Alpine meadows, Vest<ovos 3?isĵeVo রূপই qÈSএই রাঙামাটীি, পাহাড়, শালবনী-এই আসল ভারতবর্ষের রূপ। বাংলার সমতলভূমিতে সারা জীবন কাটিয়ে আমরা ভারতের প্রকৃত রূপটা ধৰ্ত্তে পারিনে। অবশ্য বাংলার রূপ অন্য রকম, বাংলা কমনীয়, শ্যামল, ছায়াভিরা। সেখানে সবই যেন মৃদু ও সুকুমার-গাছপালা থেকে নাৰী পৰ্য্যন্ত । এ সব দেশের মত রুক্ষভাব ওখানে তো নেই ! মাথার ওপরে তারাভরা আকাশ। কি জ্বলজ্বলে নক্ষত্রগুলো-যেন হীরের টুকরোর মত জলচে !-বিরাট-বিরাট-প্রকৃতি এখানে শিবমূৰ্ত্তি ধরেচে। কমনীয় নয়, সুষ্ঠু নয়, কিন্তু উদার, মহিমময়, বিরাট। বিরাট is the term for it. হঠাৎ খুকীটার কথা মনে পড়ে গেল। ওর সেই অবোধ, অনাদৃত হাসিটুকুর কথা মনে পড়ল। এই বিরাট প্রকৃতি, ওই নক্ষত্ৰজগত, বিশাল উদার Space-এর মধ্যে ওর স্থান কোথায় ? মরে সে কোথায় গেল ? তার ক্ষুদ্র জীবনীশক্তি নিয়ে ও কি এদের বিরুদ্ধে দাড়াতে পাৰ্ত্ত! Poor mite, what chance had she-a helpless thing p কিন্তু বনের ওই হলদে তিলের ফুলের থোকা-প্ৰথম বসন্তে যা থোকা থোকা ফুটেচে—তা দেখলে মনে আশা জাগে। আমি বলতে পারিএই বিরাটতার সঙ্গে মঙ্গল মিশে আছে, এই মহিমময় সন্ধ্যায় আত্মার সত্যদৃষ্টি খুলে যায়। বুদ্ধি দিয়ে সে জিনিস বোঝা যায় না, তর্কযুক্তির পথে তা ধরা দেয় না-ত প্ৰাণের মধ্যে আপনা। আপনি ফুটে ওঠে, নির্জন ধ্যানের মধ্যে দিয়ে-অপূৰ্ব আনন্দের মধ্যে দিয়ে। মুখে বলে সে সব বোঝানো কি যায় ? ফিরে দেখি ডাকবাংলোতে ওরা আসেনি। আমি একাই অনেকক্ষণ
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯
অবয়ব