পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: পাগল তো হয়েই গিয়েছিলাম। নইলে ওদের মারতে পারতাম ? : অন্যকে মারতে পাগল হতে হয় না, হিংসা মাথায় চড়ে গেলেই মানুষ মারতে পারা যায়। একটা যুদ্ধে জগতে কত লোক খুন হয় জান না ? ঃ যুদ্ধ আলাদা ব্যাপার। সৈন্যেরা তো নিজের নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে শত্ৰু মারে না । ঃ ব্যক্তিগত স্বার্থেই যুদ্ধ বাধে। সৈন্যরা ব্যক্তিগত স্বার্থেই বঁাচার জন্য যুদ্ধে নামে। ঃ বাঃ ! এটা কিরকম কথা হল ? দেশ আক্রমণ করলে দেশ রক্ষার জন্য সৈনিক হয়ে যুদ্ধে নামলে সেটা হবে ব্যক্তিগত স্বার্থের ব্যাপার ? ঃ হবে বৈকি। আমার দেশ বচলে আমি বাচিব-এই তো সোজা হিসাব । এখানে দেশের স্বাৰ্থ নিজের স্বাৰ্থ এক হয়ে গেল। শত্রুরাও মানুষ-কিন্তু তখন যত বেশী শক্রিকে খুন করতে পারব দেশকে তত বেশী রক্ষা করতে পারব । যুদ্ধের সময় যে সৈনিক যত বেশী শত্ৰু-মানুষ খুন করতে পারে তার তত বেশী গৌরব, নিজেরও তত বেশী অহঙ্কার। সারাদিন ভক্তদের নিয়ে জগদীশ ব্যস্ত থাকে। রত্নাকরের সঙ্গে কথা সুরু হয় সন্ধ্যার সময়,-সারাদিন মহাপুরুষ হয়ে জীৰ্ণ দীর্ণ দুঃখী মানুষের ঝামেলা সামলে জগদীশ যখন জীবনের জীর্ণ পুরাতন সীসাকে নিমেষে সোণার বরণ ধারণ করাবার চেষ্টা শুরু করে । 88