পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোতল আর গলায় কাত করে না জগদীশ । সচেতন থেকে রত্নাকরের সঙ্গে কথা বলা চালিয়ে যাবার জন্য একটু একটু বিষ খায়, চুমুক চুমুক খায়। সারা জগতের জীবন-সমুদ্র মন্থন করা বিষ এক চুমুক গিলে পেটে নিয়ে নীলকণ্ঠকে হার মানবার প্রয়োজন যেন তার ফুরিয়ে গেছে। সেদিন সন্ধ্যাবেলা সবে জগদীশ সুরু করেছে নেশার পালা, আজ মেশান নেশা করবে না নেশা চড়াবে না। এই ইচ্ছা নিয়ে, - জিরাই এসে খবর দেয়। ললিতা তার দর্শন চায়। লালিম বিলাতী মদ-কলসীতে এনে রাখা প্ৰপাতের জল অল্প একটু মিশিয়ে দিতে পাতলা হালকা দামী কঁচের গেলাসে যেন রঙীন হয়েছে অমৃতের মত ! একটা চুমুক দিয়ে গেলাসটা সামনে নামিয়ে রেখে সে বলে, লে আ বেটিকে । জিরাই এক গাল হাসে । ললিত কুড়েতে ঢুকে হাঁটু পেতে বসে গলায় আঁচল জড়িয়ে তাকে প্ৰণাম করতে যায় । তাড়াতাড়ি তুলে না নিলে গেলাসটা উল্টে যেত! এদিকে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে ললিতা প্ৰণাম করে, ওদিকে জগদীশ একনিশ্বাসে খালি করে দেয় গেলাসটা ! ললিতা মাথা তুলছে না দেখে মিষ্টি সুরে বলে, মা, ছেলেকে বাবা করে আজ মেয়ে হবার মতলব নিয়ে এসেছ ? Ο 8 ζ