পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাপ্লিকে যেভাবে ধমক দিয়েছিল প্ৰায় সেইভাবে ধমক দিয়ে জগদীশ বলে, আমাকে তুই মানুষ ভাবিস, পুরুষ ভাবিস ? আমাকে তুই ভয় করিস ! আমার কাছে তোর লজ্জা ! ললিত উঠে দাঁড়ায়। কাতর কণ্ঠে বলে, আমি আজ যাই বাবা । জগদীশ গর্জন করে ওঠে, না যেতে পাবি না। আমাকে তুই ঠকিয়েছিস, গেয়ে মেয়ের চেয়েও বোকা-হাক লাজুক হয়েও দেখিয়েছিস তুই কড়া মেয়ে, শক্ত মেয়ে। লজ্জায় ভয়ে এতকাল একটা রোগ পুষে রেখেছিস মুখ বুজে। তোর লজ্জা ভয় ভেঙ্গে দেব আজ । তোর রোগ সরিয়ে দেব । ভীতা চকিত হরিণীর মত ছুটে পালাতে গিয়ে কুড়ের বাইরে দাড়ানো রত্নাকরের গায়ে ধাক্কা লেগে আছাড় খেয়ে ললিতা পড়ে যায় । কুড়েটা জলপ্রপাতের ধারে হলে সেও চিত্রার মতই জলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নীচে আছড়ে পড়ত । আঘাত লেগে ললিতা অজ্ঞান হয় নি, মূৰ্ছা গিয়েছিল। দ্বিধামাত্র না করে রত্নাকর তাকে তুলে কুড়ের মধ্যে নিয়ে যায়, মাটির মেঝেতে শুইয়ে দিয়ে মাথায় জল চাপড়াতে চাপড়াতে বলে, তাপ্লি, কটা মেয়েকে ডেকে আন চটপট । মেয়েছেলে ঘিরে আছে দেখে ভরসা পাবে । আট ন’জন নানা বয়সের নিকষ। কালো বুনো মেয়েমানুষ রত্নাকরের ইঙ্গিতে কুড়ের মেঝেতে বসে, আরও কয়েকজন S86)