পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেখানে মোটর থামল তার হাত কয়েক দূরে খড়ের ছাওয়া কতগুলি মাটির ঘর। মোটরের শব্দে কোমরে তিনহাত চটের মত মোটা কাপড় জড়ান জন পাচেক লোক ছুটে এল। নিজের একান্ত আধুনিকত্ব নিয়ে প্রকৃতির একেবারে অন্তর রাজ্যে প্ৰবেশ করে মোটরটি বোধ হয় লজ্জিত হয়ে পড়েছিল, ড্রাইভারের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র নিঃশব্দ হ’য়ে গেল। আমার মনে হ’ল যে সভ্যতা ও আধুনিকতা চব্বিশ মাইল পিছনে ফেলে এসেছি তারই একটা অক্ষুট আওয়াজ কানে আসছিল, হঠাৎ সেটিও বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু ও তো গেল। কবিত্বের দিক । জগদীশ কি সত্যি এইখানে বাসা বেঁধেছে ? ঠাট্টা করে নি তো ? দশবছরের নীরবতার পর এমনি একটা পরিহাস করবে সেটাই বা কেমন কথা ! একটি লোককে কাছে ডেকে প্রশ্ন করলাম, এখানে এক বাঙ্গালীবাবু আছে রে ? ংগালী বাবা ? হঁ ! বাবু নয়, বাবা ! সন্ন্যাসী হ’য়ে গেছে নাকি ? কোথায় থাকেন ? ঘর চিনিস? কুটিরগুলির পিছনে আকাশের দিকে আঙলি বাড়িয়ে লোকটা সঙ্কেত করল । তাকেই সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হলাম। আনাচ কানাচ দিয়ে খান।পাচেক ঘর পার হয়ে দেখা গেল অন্য কুটির থেকে একটু তফাতে একখানা ঘর দাড়িয়ে আছে। সামনে গিয়ে ডাকলাম, জগদীশ ? Σ Ο