পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুয়ারের কাছে দাড়িয়ে থাকে। তারপর মূৰ্ছা ভেঙ্গে যায় ললিতার। উঠে বসে সে বিহবল দৃষ্টিতে চারিদিকে তাকায় ! রত্নাকর হেসে বলে, তুমি এত ভীতু কেন গো বোন ? খুব তাড়াতাড়িই মূৰ্ছাভঙ্গের বিহবলতা কেটে যায়। নিজেকে এখানে এ অবস্থায় দেখে তাড়াতাড়ি মনে পড়িয়ে নিতে হয় সব द९ ।। ললিতা মাথা হেট করে । রত্নাকর এবার অনুযোগ দিয়ে বলে, এত ভক্তি কর বাবাকে, বাবার নিয়ম-নীতির খবর রাখ না ? ক’ত আট-ঘাট বেধে বাবা বিষ খায় জান না ? ঃঃ আমি কিছু বুঝতে পারছি না। ঃ কি করে বুঝবে ? বাপকে চিনবে না, বাপের রীতিনীতি জানবে না, আসবে শুধু আবদার জানাতে। বােপকে রাগিয়ে দেবে, বাপের উগ্ৰমূৰ্তি দেখে মূছ। যাবে। ললিত চুপ করে থাকে। রত্নাকর ধমকের সুরে বলে, বাবার হুকুমে আমরা একজন দু’জন সন্ধ্যা থেকে সারারাত দুয়ারের কাছে পাহারায় থাকি জানা তোমার উচিত ছিল। বাবা নিজে হুকুম দিয়েছে – কড়া হুকুম। যে মানবে না। তার সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না বাবার। বিষ খেতে খেতে মাথা বিগড়ে গেলে, বিভ্ৰম ঘটলে, বাবাকে যেমন করে হোক সামলাতে হবে। মারবার হুকুম আছে, বেধে রাখার হুকুম আছে। S (i o