পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশের মুখের ভাব প্ৰসন্ন এবং প্রশান্ত । : আজ খানিকটা বুঝতে পারছি মানুষ নেশা করে কেন । শুধু বিষ দিয়ে বিষ ঠেকানো নয়। আগে তাই খেতাম প্ৰাণের জ্বালা চাপা দিতে। এখন খাই দায় ঠেকাতে । এত কিছু চাইছে মানুষ-ছুটিকে ভাবনা চিন্তা বিচার বিবেচনা কাটিয়ে না উঠে চাহিদা মেটাতে পারি না। তাকে উপলক্ষ করে নিজের সঙ্গে কথা কইছে জগদীশ । আত্মচিন্তা মুখে উচ্চারণ করছে। উৎফুল্ল হয়ে রত্নাকর জোঁকে বসে। ঃ যেমন ধর ললিতার এই ব্যাপারটা । নাঃ, বেঠিক কিছু বলিনি, বেঠিক কিছু করি নি। বেটিকে ঠিক এরকম একটা শক দেওয়া দরকার ছিল। বাপ ভাই স্বামী আছে, মা মাসী শাশুড়ী বৌদি বোন আছে, ননদ আছে, সবার কাছে এতকাল গোপন করে রেখেছে রোগটা-চুপি চুপি আমার কাছে এসেছে রোগ সারাতে। ভড়কে দিয়ে ঠিক করেছি। প্ৰতাপ আর আলোককে ধমকে দিলেই বেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু রত্নাকর-রত্নাকর মুখ খোলে না। ভাবতে ভাবতে জগদীশ আপনমনে বলে, কোথায় একটা ভুল হচ্ছে, ধরতে পারছি না । জানিস, মনে হচ্ছে, আমায় একদিন নেশা ছাড়তে হবে। সংসার স্পেশাল বাপ বানিয়েছে, এ বাপের দায় থেকে আমার রেহাই নেই। রত্নাকরীও তাই বলে । R