পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্নাকর আবার একটু হাসে। ঃ নিজেকে নিয়ে যেখান থেকে যে কথা ভাবতে সুরু করাংসার এসে যাবেই । আমি কে ভাবতে গেলেও ভাবতে হবে মানুষ কে ! আমি একটা মানুষ এখান থেকেই তো ভাবনা সুরু করতে হবে ? মানুষ কে না ভেবে কারো বাপের সাধি আছে পাচ মিনিট আমি কে এই ভাবনা চালায় ! সংসারে জন্মে ভাবতে শিখলে সংসারের কাছেএকলাটি আছে বলেই বুঝি জগৎ সংসারকে বাদ দিয়ে নিজের কথা ভাবতে পারবে ? সমাজ, সংসার, জন্মমৃত্যু, সুখ দুঃখ ঈশ্বর,-নিজের কথা তলিয়ে ভাবতে গেলে সব এসে যাবে। পাপীরও এসে যাবে, সাধুরও এসে যাবে । ঃ তুই এত জানিস, এত বুঝিস, তবু শান্তির খোজে এসেছিলি আমার কাছে ! ঃ অনেক জানলেই কি হয় ? আসল জানাটা জানলাম কৈ ! তুমি আমার চেয়ে অনেকগুণ বেশী জানো, এই কটা দিনে আমার কত ভুল-জানা যে শুদ্ধ করে দিয়েছ তার ঠিক ঠিকানা নেই! কিন্তু প্ৰথম দিনেই টের পেয়েছিলাম তুমি অনেক জানো বোঝা কিন্তু আসল কথাটা এখনো জানোও নি, বোঝও নি। মনে আছে বলেছিলাম, তুমি আমার জ্বালা জুড়োতে পারবে না-নিজের জ্বালায় তুমি নিজেই জ্বালছ! জগদীশ হেসে বলে, সে কি সোজা জ্বালা রে ? জ্বালার চোটে St