পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মরার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলাম। তুমি বড় ঝগড়াটে, বড় অস্থির। একজন একটা কথা হ’ললেই লাফিয়ে ওঠে। একমিনিট ধৈৰ্য্য ধরে অপেক্ষা করতে পার না, মানুষটার বলা শেষ হয়েছে কিনা, আরও কিছু বলবে কিনাঃ চুপ কর তুমি। তীক্ষ্ণ মেয়েলি কণ্ঠে ফেটে পড়া পুরুষালি গজন। জগদীশ একটা বই টেনে নিয়ে পাতা ওল্টায়। সুদৰ্শনার ধমক মেনে নিয়েও রত্নাকর নির্বিকার ভাবেই চুপচাপ বসে থাকে। সুদর্শনা অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকে। জগদীশের দিকে । তাদের ব্যাপারে হয় তো কিছু বলতেও পারে জগদীশ ! খানিকক্ষণ চুপচাপ কাটার পর জগদীশ বলে, আজকাল আর কবিতা লেখোনা রত্নাকর ? ঝোক কেটে গেছে ? কোথাও কিছু নেই হঠাৎ রত্নাকরের কবিতার প্রসঙ্গ টেনে অনা ! রত্নাকর বলে, ঝোকটা কেটে গিয়েছিল। আজকাল আবার যেন মাঝে মাঝে তাগিদ বোধ করি । বলে সে সুদর্শনার দিকে তাকায়। এতকাল তাদের পরিচয় হয়েছে, এতকাল তারা জগদীশের সামনে বসেও কত কথা বলেছে, তর্ক করেছে, ঝগড়া করেছে-সুদৰ্শনাকে জগদীশ কখনো লজ্জা পেতে দ্যাখে নি। আজ তার মুখ লাল হয়ে যেতে দেখে জগদীশ একটু হাসে । Sabr