কি চিন্তায় বিভোর হয়েছিল। জগদীশ সেই জানে, রেগে উঠে ধমক দেওয়ার বদলে মেঘ কেটে গিয়ে এক ঝলক রোদ ছড়িয়ে পড়ার মত হঠাৎ তার মুখে হাসি ফোটায় সকলে পরম স্বস্তি বোধ করে । ললিতাও সাহস করে বলে বসে, আমরা বড় ভাবনায় পড়ে গেছি। সাধনার কোন নতুন স্তরে উঠবার সময় কি-? সমস্ত মুখ দিয়ে প্ৰশান্ত হাসি হাসে জগদীশ। কপালের চামড়ার দুটি কুঞ্চিত রেখায় পৰ্যন্ত যেন হাসি ঝালক মারে। পরম স্বস্তি আর পরম আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে সকলের মন । উৎসুক হয়ে ওঠে । এতগুলি মন আর সব কিছু ভুলে গিয়ে মনোযোগ দেয় জগদীশে । না জানি জগদীশ কি অপূর্ব আশ্চৰ্য্য কথা বলবে, শুনতে শুনতে উত্তেজিত জর্জরিত দেহমান রোমাঞ্চিত হতে হতে কাটিয়ে উঠবে দুঃখ-বেদনা, হীনতা-দীনতা-বোধের অভ্যস্ত বঁধন, সুমহান অনুভূতির আনন্দ সাগরে সাতার কাটার সুযোগ মিলবে। যতক্ষণের জন্যই হোক । জগদীশ মুখ খোলে। ঃ সহরের ঘরে ঘরে বিদ্যুতে আলো জ্বালায়, সহরে আলো জ্বালা কত সহজ। সুইচটা টিপতেই ঘর আলো হয়ে যায় । সহরে একদিন সন্ধ্যা নেমেছে। নামকরা একজন বড় অধ্যাপক দশটা ক্লাসে হিট, লাইট, ইলেকট্রিসিটি বাখ্যা حرف SR O