পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; তুই পারবি না। তোর বিষয়বুদ্ধি নেই। ঃ ন্যায্য পাওনা তো তোমার ? করতাম নয় মারতাম।--তোমার ন্যায্য পাওনা আদায় করে আনতাম । জগদীশ হাসে -মরেও পারতিস না রে, এতকাল ঢ়িল দিয়ে পাওনা আদায় করা অত সহজ নয়। মরণ পণ করে লেগে গেলাম। আর অন্যের খপ্পরে যাওয়া ন্যায্য পাওনা পেয়ে গেলাম, সংসারে অত ন্যায় খাটলে ভাবনা ছিল নাকি ? তুই মরলে এ জগতে কার কি এসে যায় ? এ জগতের কার সস্তা দায়টা তুই ঘাড়ে নিয়েছিস ? তোর বাহাদুরী তো সব দায় এড়িয়ে চলা, আমার কাছে ধন্ন দেওয়া ! পরদিন প্ৰতাপ প্ৰায় সপরিবারে হাজির হয় । বলে, দায় নিলাম । বিরক্ত জগদীশ কথা বলে না । ফোকলা মুখে একগাল হেসে প্ৰতাপ বলে, না না। সেজন্য আসিনি। বুঝিয়ে দিতে এলাম যে দায়টা সত্যি নিয়েছি। সংসারের সকলের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছি। বুঝিয়ে দিয়েছি-এ দায় যদি না উদ্ধার করতে পারে চুলোয় দেব ঘর সংসার ! : দায় নিয়ে তোমার কােজ নেই প্ৰতাপ ! প্ৰতাপ তো ছেলে মানুষ নয়! সে চুপ করে থাকে। প্ৰায় তার সমগ্ৰ পরিবারটি একে একে জগদীশের পায়ে মাথা নত করে প্ৰণাম করে সরে যায় । প্ৰতাপ ধীর গম্ভীরভাবে বলে, রাগের কারণটা বুঝেছি। বাবা, R R R