পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশ সশব্দে হেসে ওঠে । ' : বারবার বােঝালাম না তোকে, তোর বিচার বুদ্ধি আছে, বিষয়বুদ্ধি নেই। প্ৰথম যুক্তিটা বেশ খাড়া করলি, প্ৰতাপ আমার নাম নিয়ে কৌশল খাটাবে । কিন্তু আমি গোসা করে শাপ দিলে ভগবান ওদের লাভের জাহাজ মােঝ-দোরিয়ায় ডুবিয়ে দেবে —এ কৌশল প্ৰতাপ খাটাবে না। একথা বলেই তুই প্ৰমান দিলি তোর বিষয়বুদ্ধি নেই। রত্নাকরকে কখনো রাগতে দ্যাখেনি জগদীশ । তার ভাবভঙ্গি কথাবাৰ্ত্তা থেকেই টের পাওয়া যায় সে ভীষণ চটে গেছে ! জগদীশের পায়ের কাছে কয়েকবার মেঝেতে মাথা ঠোকে । যোগাসনে বসার মত মেরুদণ্ড সিধা করে বসে বুনো। কার্পাসী। চটের সার্টের তলাটা তুলে মুখ মোছে। পৃথিবীর গায়ে জড়ানো মোটে মাইল পাচেকের মত যে বায়ুস্তর আছে তার সবটা এক নিশ্বাসে শুষে নেবার মত গভীর একটা निश्रांज छछि । বলে বুঝিয়ে বলে দাদা। বাপ বলিনি, দাদা বলেছি তো ! কি বললে ছোট ভাইটিকে বুঝিয়ে বলে । জগদীশ স্নেহের দৃষ্টিতেই তার দিকে চেয়ে থাকে। তার মুখের হাসিখুশি ভাবের এতটুকু পরিবর্তন ঘটে না । রত্নাকর মরিয়া হয়ে বলে, আজ একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক । বিনে মাইনেয় আশ্রমের ম্যানেজার, হেড-ক্লার্ক, ষ্টোর-কিপার, ক্যাশিয়ার, গেটকিপার-সব পোষ্টে খাটিয়ে নিচ্ছ। আসল 2S