পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্নাকর দ্বিধার সঙ্গে বলেছিল, এরকম হঠাৎ বন্ধ করলে দাদা ? ঃ হঠাৎ বন্ধ না করলে এসব বন্ধ করা যায় ? বিকাল থেকেই জগদীশের যেন কেমন কেমন ভাব। সন্ধ্যায়। পর হঠাৎ একসময়-সাপ ! সাপ !—বলে আর্তম্বরে চেচিয়ে উঠে ভয়ে দিশেহারার মত সে কঁাপিতে আরম্ভ করে। । দৈখা যায়, তার সর্বাঙ্গ ঘামে ভিজে গেছে। তারপর সুরু হয় তার আবোল-তাবোল কথা, এলোমেলে চীৎকার আর ছটফটানি । ঠিক জ্বর-বিকারের রোগীর মত করতে থাকে। সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে প্ৰকাশ পায় মরণের আতঙ্কটা !! অংশেপাশের ভক্তরাই নাকি তাকে খুন করার মতলব এটেছেদা, কুড়াল, টাঙ্গি এসব এনেছে তাকে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলার জন্য । সুদৰ্শন গায়ে হাত দিয়ে বলে, গা তো ঠাণ্ডা ! প্ৰতাপ বলে, ডাক্তার আনা উচিত । প্ৰতাপের গাড়ী ডাক্তার আনতে সহরে ছুটে যায়, রত্নাকর জগদীশকে বলে, একটু খাবে ? বিলাতী একটু খাও না । জগদীশ কাতরভাবে বলে, না না, মরে যাব । কে যেন বোতলটার মধ্যে বড় বড় কঁকড়া বিছে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমায় মারতে চায় ! ডাক্তার আসে। পরীক্ষা করে। বলে, ডিলিরিয়াম ট্রেমেনস । বেশী ড্রিঙ্ক করলে হয়, হঠাৎ ড্রিঙ্ক বন্ধ করলেও এরকম হয়। পরদিন জগদীশ বলে, তোমরা কাজ কম চালিয়ে যাও-আমি RVOR