পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাতে বল্লাম, সন্দেহ আছে ! ভদ্রলোক ভারি খুসী। মাথা দুলিয়ে বল্লেন, ঠিক, সন্দেহ । থাকতেই পারে না, বাঙ্গালীর বৈশিষ্ট্য যাবে কোথা । হা হা। হা ! সেই জন্যই তো যেচে আলাপ করা । বাঙ্গালী বলে চিনতে কি আর পারিনি ? ও হল যা হোক কিছু বলে কথা আরম্ভ করা । আপনি বিরক্ত হবেন ভেবে আমার মেয়ে তো আপত্তিই করছিল । বিরক্ত হব ? আপনার বিরক্ত হবেন ভয়েই তো আমও যেচে, আলাপ করবার চেষ্টা করি নি! ভদ্রলোক আরও খুলী। হাসতে হাসতে বল্লেন, ভাগ্যে আপনার বিরক্ত হবার রিস্কটুকু নিয়েছিলাম। না হ’লে এক জাহাজে থেকে বাঙ্গালী হয়েও পরস্পা বােব পরিচিত না। হওয়ার কলঙ্ক থেকে যেত । আমিও হাসলাম । নাম শুনলাম, অনন্তলাল। কলকাতার এটৰ্ণি। পরিচয় ছিল না, নাম আগেই শুনেছিলাম। ৰাবাকে চিনতেন, বিষয়সূত্রে পরিচয় । বাবার নাম শুনেই “আপনি” থেকে একেবারে ‘তুমি’তে নেমে গেলেন। দশবছরের ছেলের মত আমার পিঠ চাপড়ে সম্মিত মুখে বল্লেন, খাসা লোক তোমার বাবা । তঁর ছেলেও যে তঁরই মত খাস হবে সন্দেহ নেই। মনে মনে হাসলাম । না থাকে ভালই।