পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে আমার মনে হল, অসংযত যৌবন যেন ধাপে ধাপে আমায় পশুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জানি সবই, যৌবনের যত জয়গান, নর নারীর সম্পর্ক নিয়ে বড় বড় পণ্ডিতের যত গভীর গবেষণা, বিশ্বসাহিত্যের নতুন প্রবাহে যৌবন বিশ্লেষণের সূক্ষ্মতম বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব,-জানতে তো বাকী ছিল না কিছুই ! যৌবন যখন হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে জেগে উঠেছিল তখন মনে প্ৰাণে বিশ্বাসও করেছি, পাপপুণ্য মিথ্যা, নরনারী পরস্পরের জন্যই সৃষ্ট হয়েছে, তাদের মিলনকে নিয়ন্ত্রিত করবার অধিকার সমাজ ধৰ্ম্ম কারুরই নেই! তখন জেনেছি, হিসাব করে যৌবনকে খরচ করা ভয়ের পরিচয়, যৌবনের পঙ্গুতার লক্ষণ । কিন্তু সেদিন অন্ধকার নিশীথে মনে হয়েছিল-তাই কি ? অসংযত যৌবনের পরিচর্য্যা করা পশুধৰ্ম্মের কতটুকু উপরে ? দোষ না থাক, লক্ষ লক্ষ ঈশ্বরবিশ্বাসীর মতে যা অন্যায়, যা পাপ তা শুধু স্বভাবের নিয়ম হোক, বিজ্ঞান অঙ্ক কষে স্থির করুক, প্ৰেম ভালবাসা সমস্তই সেই স্বভাবের চিরন্তন দাবীর রূপান্তর মাত্র, কিন্তু সেইটুকুই কি সব ? তবে সেই স্বভাবের নিয়ম মেনেই যে দুটি নারীর সঙ্গে খেলা করে এলাম তাদের কথা ভেবে আমার মনে এ আগুন জ্বলে কেন ? সংস্কার ? আজন্ম অভ্যস্ত ভাল মন্দের জ্ঞান ? সেও তো স্বভাবেরই নিয়ম ! হায়রে, তখন তো বুঝিনি ! দেহের যৌবনকে বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতম VV)