পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু ইতস্ততঃ করে চিত্ৰা গাইল। কবির অন্তরে সুন্দরের সঙ্গলাভে যে অনির্বচনীয় আনন্দসুধা সঞ্চিত হয়েছিল ছন্দে গাথা কথার চারিদিকে সুরের মালা জড়িয়ে সেই আনন্দে বাইরে প্রকাশ করবার চেষ্টা শ্রবণে যেন মধুবর্ষণ করে গেল। চিত্রার পর রায় গাইল। হিন্দী গান। সুন্দর জমজমাট গলা, গাইবার ভঙ্গি চমৎকার। রাগরাগিণীর জ্ঞান আমার খুব টনটনে নয়, কিন্তু মালকোষ বলেই চেনা চেনা ঠেকাল । অনাড়ম্বর চেষ্টায় প্রকৃত সাধকের মত রায় গেয়ে গেল। আনন্দ পেলাম অনেকখানিই, কিন্তু গান যখন শেষ হল। তখন আমার মনে হল কি রকম একটা অস্বস্তি সেই আনন্দের গলা টিপে 红瓦豆1 চিত্রার মুখ আনন্দে উজ্জ্বল। জলধি রায়ের আমন অনবদ্য সুর-সৃষ্টির গর্বটা যেন তারই। বাইরে তখন জ্যোৎস্নার বান ডেকে গিয়েছে। বাগচি। প্ৰস্তাব করল, লনে গিয়ে চায়ের সঙ্গে জ্যোৎস্না উপভোগ করা যাক। চিত্ৰা বলল, চায়ের সঙ্গে জ্যোৎস্না। আপনি হাস্যালেন মিঃ বাগচি। হাসালাম ? কবি ছাড়া জ্যোৎস্নার উপভোগের এমন চমৎকার উপায় আর নেই মিস সেন। কবি ছাড় কেন ? কবির কি দোমনা হবার সাধ্য আছে যে একসঙ্গে চা আর জ্যোসু উপভোগ করবে। मदाठे छानब्ल । 88