পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায়ের হাতের গোলাপটির ওপর চোখ পড়ল, মনে হল আমার সবটুকু রক্ত জমাট বেঁধে ওই ফুলটির সৃষ্টি হয়েছিল, আমার অন্তরের মালঞ্চ হতে চিত্রা সেটিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এত গম্ভীর হয়ে পড়লেন যে মিঃ মিত্ৰ ? চমকে চিত্রার মুখের দিকে চাইলাম। হৃদয়হীন মানুষের নিষ্ঠুরতারও সীমা আছে, নারীর নিষ্ঠুরতার সীমা নির্দেশ করতে ঈশ্বরের বোধ হয় ভুল হয়েছিল। এক মুহুর্তে কৰ্ত্তব্য স্থির হয়ে গেল । হেসে বললাম, জ্যোৎস্না দেখে ভাব লেগেছে কিন্তু এদিকে চায়ের যে শীত লাগবার উপক্রম হল। অনাবশ্যক হাসি হেসে বললাম, চা তুচ্ছ। এমন জ্যোৎস্নারায়ের দিকে নজর পড়ল। তার মুখে হাসি নেই, মুখে বেদনার ছাপ। উপহারের গোলাপটি নাকের কাছে ধরে স্থির মান দৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে। সহানুভূতিভর করুণ দৃষ্টি। চোখের দৃষ্টি যে মানুষকে এতখানি লজ্জা দিতে পারে আর অপমান করতে পারে সেই দিনই প্ৰথম অনুভব করলাম। ইচ্ছে হতে লাগিল চায়ের চামচ দিয়ে লোকটার বড় বড় চোখ দুটি উপড়ে আনি । কিন্তু হাসিমুখেই বললাম, মিঃ রায়, শুনলাম। আপনি নাকি সুন্দর বঁাশীও বাজাতে পারেন। আপনার গান শুনে যারা একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছে, বাঁশী বাজিয়ে তাদের একেবারে আত্মহারা করে দিন না ? এমন জ্যোসা, একটু বাজালে, কৃতাৰ্থ হব। ولا\8