পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোক, সারাজীবন জ্বালিয়ে মারবে বোঝা যাক-তবু সন্তানকে মানতেই হবে । অনভ্যস্ত নেশার আকাশে উঠে না গেলে প্ৰবোধ টের পেত, এ জগদীশ তার ছেলেবেলা থেকে চেনা জগদীশ নয় ! গোটাচারেক সিদ্ধ করা মুগীর ডিম দিয়ে যায় সেই মেয়েটা । জগদীশ যেন পিতার মতই উদারভাবে তার গালটা টিপে দেয়। ক্ৰমে ক্ৰমে জগদীশের ব্যক্তিত্ব যেন বনের ধারের এই নির্জন কুটিরে বসে মানস প্রসারিত করে আয়ত্ত করছিল জীবন আর জগৎ- যেন তারই নির্দেশে তারই নিয়মে তারই পরামর্শে জগৎ আর জীবন চলে, জীবনের মানে যেন সেই শুধু জানে। মরিয়া হয়ে প্ৰবোধ বিলাতী বোতলট। আরেকবার একটুখানি কাত করে তার গেলাসে । অল্পই ঢালে—এত অল্প ঢালে যে জগদীশের আমোদ পাওয়া নীরব হাসি তার মুখেও হাসি ফুটিয়ে @tび研 ] বোতলাটা টেনে নিয়ে গলায় কাত করে জগদীশ আবার হাসে বলে, আসল ভুলটা আমাদের দুজনেরি হয়েছিল একভালবাসাকে না মেনে যাচাই করতে চাওয়া । আমি আরেকটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম। সেটা আমার দোষ। সেইজন্যই তো নিজের ওপর বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে । আর বঁাচতে ভাল লাগে না । অনভ্যস্ত নেশা তীক্ষা করে দিয়েছে প্ৰবোধের বুদ্ধি, একেবারে ዓ S