পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্ত নির্বিকার আত্মস্থ জগদীশকে দেখে মনে হয় না যে সে ব্যাকুল কাতর কণ্ঠের আবেদন নিবেদন শুনছে। রোগশোক দুঃখ-বেদনা, শোকতাপে জর্জরিত সাধারণ মানুষের মর্মন্তদ কাহিনীই হোক আর হাজারপতির লাখপতি হবার চেষ্টা বার বার বিফল হবার কাহিনীই হোক-সে যেন সমান নির্বিকল্প ७ठा(८द 6*6न्म ! দুঃখী মানুষকে করুণা করাও মানস সাধনার অঙ্গ। আত্মা যেন তার ডুবে আছে ধ্যানে সাধনায়। চেতনার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র সে যেন কাজে লাগিয়েছে বিব্রত মানুষের কথা শুনে উপদেশ দেবার জন্য । তাই যদি না হবে, তবে নিমীলিত চোখে এভাবে নিথর নিষ্কম্প হয়ে যোগসাধনায় ডুবে থেকেও কি করে সে প্ৰত্যেকের কথা শোনে, প্রশ্নের জবাব দেয়, উপদেশ দেয়। আর অন্যায় আবদার করলে তিরস্কারে মাথা নুইয়ে দেয় ? সত্যই তো । একটা কিছু পেয়ে না থাকলে রাজার মত ধনীর ছেলে এই বয়সে এই জংগলে জংলী মানুষের সঙ্গে অকারণেই কি ডোরা বেঁধেছে ! রবিবার সকাল থেকে ভক্ত সমাগম সুরু হয় । রবিবার সহরের ভদ্র ভক্তের সমাবেশই হয় বেশী । হুড়, বেড়ানো হবে। যুবক সাধক ও মহাজ্ঞানী সাধুকে প্ৰণাম করাও হবে । এক রবিবারের ভোরে সপরিবারে আসে প্ৰতাপ । by \)