পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচ টাকার পাচটি নোট গুণতে গুণতেই ললিত একবার শাণিত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে নেয়। তাকে ঠোট কামড়াতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে জগদীশ (8 65 ।। একটু হতভম্ব প্ৰতাপকে সে গম্ভীর উদাত্ত কণ্ঠে প্রশ্ন করে, এই পরম ভাগ্যবতী মা-টিকে তুমি কোথায় পেলে ? মাটিকে ! নোট ক’খানা হাত থেকে খসে পড়ে যায়। ললিতার । প্ৰতাপ মুগ্ধ কৃতাৰ্থ গদগদ হয়ে বলে, আজ্ঞে যা বলেছেন। সব চেয়ে অমানুষ ভেবেছিলাম যে ছেলেটাকে, শেষ পৰ্য্যন্ত সেটাই হল মানুষ। পাট নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করতে নিজে কখনো সাহস পাইনি-শুনেছি। অনেক ফটিকাবাজি চলে। ছেলেটা যেমন পাজী তেমনি চালাক চতুর। ভাবলাম ওটাকে পাটের লাইনে ঢুকিয়ে দিয়ে দেখি কি হয়। কথা কি শোনে ? যত বলি, তুই পারিস না। পারিস তোর কোন দায় নেই, বিশ ত্ৰিশ হাজার যদি যায় তো যাবে। তোকে কিছু বলব না, তুই শুধু একবার কোমর বেধে লােগ। জগদীশ নির্বিবকার ভাব বজায় রেখে গভীর মনোযোগের সঙ্গে প্ৰতাপের কথা শোনে। মনে তোলপাড় ওঠা মুখে যাতে ফুটে না। ওঠে। সেজন্য রীতিমত তাকে কসরৎ করতে হয়। ছোট ছেলের নাম আলোক। সে কিছুতে নামবে না পাটের ব্যবসায়ে, সে পড়বে। পরীক্ষা পাশ সে করে সত্যি-কোন রকমে হলেও পাশ করে । しアbr