পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ তোমার অশান্তি রোগটা সারাতে যাব । ললিতা ভেবে চিন্তে জিজ্ঞাসা করে, আপনার ভোগের কি ? ব্যবস্থা করব ? জগদীশ হেসে বলে, আমি কি ভোগ করতে যাব ? ভোগের ব্যবস্থা করতে হবে না। এই প্ৰপাতের জল শুধু রেখো-শুধু জল খাব । এখানকার জল ছাড়া আমি খাই না জান তো ? প্ৰতাপের বাড়ীর মেয়েদের কাছে হুড়ার নবীন সন্ন্যাসীর গল্প শোনে নগেনের বাড়ীর মেয়ের । ললিতা উচ্ছসিত হয়ে বলে, প্রথমটা ভড়কে গিয়েছিলাম সত্যি, একদুষ্টে এমন ভাবে তাকিয়ে রইলেন যেন গিলে খাবেন! এ কেমন সাধু, মেয়ে বৌ দেখে ধাত ছেড়ে যায় ? কেন ওভাবে দেখছিলেন, কথার ছলে বাবাকে বুঝিয়ে দিয়ে আমাকেই শেষে লজ দিলেন । আমার মধ্যে নাকি অসাধারণ কিছু আছে, তাই বিশেষভাবে আমাকে লক্ষ্য করছিলেন। আমার ভেতরটা দেখছিলেন ! ললিতার মুখে বেদনার ছাপা পড়ে। অনুতপ্ত প্ৰাণের বেদনার ছাপ। সখেদে বলে, বাজে বদ লোকের চাউনি দেখে দেখে সত্যি আমাদের বিশ্ৰী ম্যানিয়া জন্মে যায়। খাটি যোগী সাধকের চাউনিটাও চিনতে পারি না । বাবার সঙ্গে ওঁনার কথাবার্তা শুনতে শুনতে হঠাৎ আমার খেয়াল হল- আরে, কী বোকার মত আবোলতাবোল ভাবছি ! SS)