লাল্মাই পর্ব্বতপ্রান্তদেশস্থ কতিপয় প্রাচীন স্থান
কুমিল্লা নগরীর পশ্চিম প্রান্তে “লাল্মাই” নামে খ্যাত ন্যূনাতিরেক ৮ মাইল দীর্ঘ অরণ্যসঙ্কুল যে এক গিরিশ্রণী অবস্থিত, তাহার নানা স্থানে রাজধানী স্থাপন পূর্ব্বক কোন এককালে কতিপয় নৃপাল রাজত্ব করিয়াছিলেন—এইরূপ জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। তৎকালের যে কতিপয় প্রাচীন নিদর্শন অধুনা ঐ সমুদয় স্থানে বর্ত্তমান রহিয়াছে, এবং সেই সমস্তের সম্বন্ধে লোকমুখে যাহা কিছু অবগত হওয়া যায়, তদ্বিষয় নিম্নে বিবৃত হইল।
কোট্বাড়ী
উল্লিখিত পর্ব্বত-প্রান্তদেশস্থ কোটবাড়ী নামক জনপদে কতিপয় ইষ্টক-নির্ম্মিত ভবন ও প্রাচীরাদির অধুনা বহু সংখ্যক বিকীর্ণ ও স্তুপীকৃত ইষ্টকরাশি ব্যতীত তথায় আর কিছুই দৃষ্টিপথে পতিত হয় না। জনশ্রুতি এই—তৎসমুদয় সুপ্রাচীন কালের জনৈক রাজা কর্ত্তৃক নির্ম্মিত দুর্গ ও নিকেতনাদির বিধ্বস্ত অংশ। কিন্তু কোন্ সময়ে কাহার দ্বারা ঐ দুর্গ ও ভবনাদি নির্ম্মিত হইয়াছিল, এই কথা কেহই বলিতে সক্ষম নহে।
স্মরণাতীতকাল অবধি জনসাধারণ কর্ত্তৃক এই স্থান “কোটবাড়ী” নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে। কোট শব্দ দুর্গ শব্দের পরিবর্ত্তে পূর্ব্ববঙ্গের জনসাধারণে প্রয়োগ করিয়া থাকে; ইহাতে প্রতীয়মান হয় যে, কোন মহীপ একদা এই স্থানে দুর্গনির্ম্মাণ পূর্ব্বক বাস করিয়াছিলেন—কালবিবর্ত্তনে তাঁহার বিষয় বিষ্মৃতির তিমিরময় গর্ভে নিহিত হইয়াছে।
শালবানপুর
কোটবাড়ীর দক্ষিণদিকে এক মাইল দূরবর্ত্তী উক্ত জনপদটী রাজা গোপীচাঁদের