গুরু সিদ্ধাচার্য্য “হরিপা” ও “চৌরঙ্গী”র জন্মস্থান বলিয়া কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে, হরিপার পিতা “শালবান” নামক জনৈক রাজার নামানুসাবেই গ্রামটী “শালবানপুর” বলিয়া অভিহিত এবং উক্ত বাজাব নাম সমম্বিত যে এক বৃহৎ সবোবর পল্লীমধ্যে আছে, তাহাও উক্ত রাজা কর্ত্তৃক খনিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত তাঁহাদিগেব সম্বন্ধে আর কোন কথাই জ্ঞাত হওয়া যায় না।
ভোজরাজার কোট
প্রাগুক্ত কোটবাড়ীর উত্তরে, অর্দ্ধ মাইল দূরে—“ভোজ রাজার দীর্ঘিকা” নামক সুপ্রসিদ্ধ যে এক সরোবর আছে, তাহার পশ্চিমদিকে ইষ্টক নির্ম্মিত ভবনাদির কতিপয় বিধ্বস্ত অংশ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। জনশ্রুতি এই—তৎসমুদয “ভোজ” নামক এতৎ প্রদেশস্থ জনৈক রাজা কর্ত্তৃক নির্ম্মিত নিকেতনাদির ধ্বংসাবশেষ। এতদঞ্চলের সর্ব্বসাধারণের এই স্থানকে “ভোজরাজার কোট” নামে অভিহিত করে।
আনন্দ রাজার কোট
প্রাগুক্ত ভোজ দীর্ঘিকার উত্তরদিকে “আনন্দ-সাগর” নামক প্রসিদ্ধ এক পুষ্করিণীর পশ্চিম প্রান্তে কতিপয় প্রাচীরাদির ধ্বংসাবশেষ ও ইষ্টকরাশি বিক্ষিপ্ত রহিযাছে। ঐ সমস্তের সম্বন্ধে জনশ্রুতি এই—“আনন্দ” নামে খ্যাত জনৈক রাজা একদা এতদঞ্চলে রাজত্ব করিয়াছিলেন বলিখা যে প্রবাদ প্রচলিত আছে, সেই সময় তৎকর্ত্তৃক এই স্থানে যে সমুদয় নিকেতনাদি নির্ম্মিত হইযাছিল, উল্লিখিত বিকীর্ণ ইষ্টকাদি তাহারই ধ্বংসাবশিষ্ট অংশ। এই পল্লী “আনন্দ রাজার কোট” নামে জনসমাজে পরিচিত।
“লালমাই” নামক প্রাগুক্ত পর্ব্বতমালার প্রান্ত দেশস্থ কতিপয় স্থানে যে সকল মহীপগণ রাজত্ব করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে, তাঁহারা কোন্ বংশসম্ভূত এবং কোন সময়ই বা তাহাদিগের রাজত্বকাল—জনশ্রুতি ব্যতীত এই সকল বিষয়ের প্রামাণিক ইতিবৃত্ত কিছুই অবগত হওযা যায় না।