পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।


বাতোদ্‌ঘাতবিভিন্নদেবসদনং চক্রে মনোজ্ঞং বরং
শাকে নেত্রবিয়দ্রসেন্দুমিলিতে পীঠে ভবান্যাঃ পুনঃ॥

 শকাব্দা ১৬০৩

উল্লিখিত শ্লোকদ্বয়ের ভাবার্থ

 প্রথমটী—

 প্রাচীনকালে সর্ব্বগুণসমন্বিত কর্ণ-তুল্য দাতা ধন্য মাণিক্য নামে এক নরেন্দ্র ছিলেন। ১৪২৪ শকাব্দে আকাশভেদী এই প্রাসাদ তৎকর্ত্তৃক দেবগণ-সেবিতা লোকজননী অম্বিকাকে প্রদত্ত হয়। তদনন্তর ত্রিপুরেশ কল্যাণ দেব প্রবল রিপুগণ-পীড়িতা ধরণীকে কেবল স্বীয় শক্তিদ্বারা শাসন করিয়াছিলেন। তদীয় তনয় বীরচূড়ামনি শান্তশীল নৃপশ্রেষ্ঠ গোবিন্দ দেব সাম্ব অর্থাৎ সহ্ম বা ত্রিপুররাজ্যে বিরাজ করিবার কালে দানের দ্বারা দ্বিজও দ্বিজপত্নীগণকে সুবর্ণে ভূষিত করিয়াছিলেন।

 দ্বিতীয়টী—

 তৎপুত্র ধার্ম্মিক ভূপতিতিলক, সৌম্যমূর্ত্তি, বদান্য, সত্যবাদী, নিখিলগুণযুক্ত–শ্রীশ্রীমান্‌ রাম মাণিক্য দেব অম্বিকার উদ্দেশে ধন্য মাণিক্য-কর্ত্তৃক প্রদত্ত মন্দির বৃক্ষাদিতে বিদারিত দৃষ্টে ১৬০৩ শকে মনোজ্ঞ করেন।

 মন্দিরটীর উত্তরগাত্রে সংলগ্ন প্রস্তরফলকে উৎকীর্ণ লিপি নিচয় সুস্পষ্ট নহে এবং উহার কিয়দংশও বিনষ্ট হইয়াছে।

 শিলালিপিটী প্রায় এইরূপ—

“এ এ তু মাম
শ্রীবলিভিম না
রা (য়) ণ ত্রিপুরা
শ্রী (হরি) ব (ল্লভ) না
রায় (ণ) বিশ্বা (স)

 শক ১৬ ৩”

 উল্লিখিত শিলালিপি বঙ্গভাষায় লিখিত। ইহাতে ১৬ ৩ শক পর্য্যবেক্ষণ করিয়া এইরূপ অনুমিত হয়—দুই কি তিন অঙ্কের দ্বারা প্রকাশিত রাশির মধ্যে

ত্রিপুরার স্মৃতি
৪৫