পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থানীয় জনসাধারণে উক্ত দুইটা মন্দিরকে “ছত্যার বাড়ী” কহে। হত্য শব্দের প্রকৃত অর্থ কি-ইহা বুঝা দুষ্কর । সম্ভবতঃ ইহা “দৈত্য” কিংবা “দ্বিতীয়া" শব্দের অপভ্রংশ হইতে পারে । যদি তাহাই হয়—তবে উল্লিখিত দুইটি মন্দির নিম্নলিখিত ব্যক্তিদ্বয়মধ্যে একজনের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হওয়া সম্ভব । ত্রিপুরেশ বিজয় মাণিক্যের সেনাপতি দৈত্যনারায়ণ-কর্তৃক একটা মঠ নির্মিত হইয়। তন্মধ্যে জগন্নাথের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল—এইরূপ রাজমালায় বর্ণিত আছে । কিন্তু তাহা কোন স্থানে এই বিষয় উল্লেখ নাই। “স্থত্যা’ শব্দ যদি “দৈত্য” ধরিয়া নেওয়া যায় তাহা হইলে রাজমালায় লিখ। অনুসারে দুইটী মন্দিরমধ্যের একটী দৈত্যনারায়ণ-কত্ত্বক নিৰ্ম্মিত হইয়া তন্মধ্যে জগন্নাথ মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাক। বিচিত্র নহে । “দৈত্যনারায়ণ সেনাপতি অতি পুণ্যবান । জগন্নাথ স্থাপে মঠ করিয়া নিৰ্ম্মাণ ॥" রাজমাল।--বিজয় মানিক্য থও “দুত্যা’শব্দ দ্বিতীয়ার অপভ্রংশ হইলে, ত্রিপুরেশ রাম মাণিক্যের শ্বালক পরাক্রান্ত সেনাপতি বলি ভীম নারায়ণের দুহিতা ‘দ্বিতীয়া’ ঠাকুরাণী-কত্ত্বক উত্ত দুইটী মন্দির নিৰ্ম্মিত হওয়াই সম্ভব । তাহার সম্বন্ধে “শ্রেণীমালা” নামক ত্রিপুররাজবংশচরিত গ্রন্থে নিম্নলিখিত রূপ লিপিবদ্ধ আছে – “বলীভীমস্থত। হয় দ্বিতীয়। ঠাকুরাণী । নান। স্থানে দীঘী মন্দির জাঙ্গাল পুষ্করিণী ॥" উল্লিখিত দ্বিতীয়। ঠাকুরাণী ব্যতীত তল্লামী আরও একজন মহিলার বিষয অবগত হওয়া যায়। তিনি যুবরাজ চম্পকরায়ের অম্বুজ, কুমার জগন্নাথ দেবের পুত্ৰী “দ্বিতীয়াদেবী” ; তৎকর্তৃক-ই কুমিল্লানগরীর পশ্চিমপ্রাস্তদেশস্থ *“লালমাই” পৰ্ব্বতমালার দক্ষিণপ্রাস্তবত্তী শৃঙ্গোপরি চণ্ডীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । গোবিন্দ মাণিক্যের মছিৰ “গুণৰভা” কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিষ্ণুমন্দির প্রাগুক্ত স্থানের পূর্বদিকে, অল্পদুৰ্ববর্তী একটা প্রাঙ্গনে তিনটা মন্দির দৃষ্টিগোচর হয়। তন্মধ্যে পশ্চিমদিকে অবস্থিত মন্দিরের পশ্চিমগাত্রে সংলগ্ন প্রস্তরফলকে 蟾戈 ত্রিপুরার স্মৃতি